কলকাতা কথকতা
বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতাতেই
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) ১৮ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

নামটা শুনে বাঙালি বলে ভ্রম হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শুধু কেরল ক্যাডারের আইএসই নন, জন্মসূত্রে তিনি কেরলিয়ান। কোটটায়াম জেলার মানাম্মামামের বাসিন্দা। বাবা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী পি কে বাসুদেব রাও, মা সি পদ্মাবতী আম্মা। বাংলার নতুন রাজ্যপাল অবশ্য ইংরেজি সাহিত্যে এম এ করার পর কর্মজীবন শুরু করেন এই কলকাতায় স্টেট ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে। কর্মস্থল ছিল শ্যামবাজার ও চৌরঙ্গী। থাকতেন রাসবিহারী এভিনিউতে। কলকাতায় থাকাকালীন টন টন কে সি দাসের রসগোল্লা খাওয়ার স্মৃতি এখনও তাঁর অমলিন। রসগোল্লার মত মিষ্টি রসেই তাঁকে বরণ করছে রাজ্য বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, আশা করা যায় আনন্দ বোস জগদীপ ধন খরের যোগ্য উত্তরসূরী হবেন এবং ঘটনার ন্যায্য বিচার করবেন। অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশের মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তারা পছন্দ করতো না। লা গণেশের দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মমতা পর্যন্ত চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন। অতি সম্প্রতি অখিল গিরিকে বরখাস্ত করার আবেদন নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতারা যখন রাজভবনে গিয়েছিলেন, লা গণেশ তখন নিজের অফিসে ছিলেন না। এই সব ঘটনায় তিক্ত বিজেপি স্বাগত জানিয়েছে সি ভি আনন্দ বোসকে। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, রাজ্যপাল যদি সংবিধানের চৌহোদ্দির মধ্যে থেকে কাজ করেন তাহলে তাঁকে স্বাগত না জানবার কি থাকতে পারে?
সি ভি আমন্ড বোস কিন্তু মোদির ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একজন। আবাসন বিশেষজ্ঞ আনন্দ বোস দেশে স্বল্প মূল্যে বাড়ি বানানোর কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি পি এইচ ডি করেছেন এই আবাসনের বিষয়ে রাজস্থানের পিলানি থেকে। উনিশশো সাতাত্তর সালের আইএএস সি ভি আনন্দ বোস যখন কেরলে পোস্টিং এ ছিলেন তখন একবার তদানীন্তন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তাঁর কাছ থেকে স্বল্প মূল্যের আবাসন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তৃণমূল ও মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে স্বচ্ছ মানসিকতা নিয়েই কাজ করতে চান এই দুদে আইএএস। তিনি বিজেপির রাজনীতি না করলেও তিনি যে বিজেপির আদর্শকে পছন্দ করেন তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখেনা। এখন দেখার একাত্তর বছর বয়স্ক সি ভি আনন্দ বোসের আমলে শান্তি কল্যাণ হয়ে থাকে কিনা।