রাফিউর রহমানে আস্থা মির্জাপুর তৃণমূল আওয়ামী লীগের

রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করতেন। উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন জন্য দেশের বাইরে। ফিরে এসে ঢাকায় ব্যবসায়ের পাশাপাশি যুক্ত হন আওয়ামী লীগে। পরে মির্জাপুরের প্রয়াত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেনের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে নিজেকে উপজেলা আওয়ামী লীগে জড়ান। সম্প্রতি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি তৃণমূলের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন । উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ায় সম্প্রতি উপজেলার তরফপুর, লতিফপুর, বাঁশতৈল ও আজগানা ইউনিয়নের আওয়ামী কর্মী-সমর্থকদের উদ্যোগে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক পরিচিত মুখকে তার সফর সঙ্গী হতে দেখা গেছে। দেখা গেছে নানা কারণে দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা অনেককে। তাদেরকে নিয়ে উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র উপজেলাবাসীর কাছে তুলে ধরতে নানাভাবে জনসংযোগ করে চলেছেন তিনি।

আর তার এই যাত্রায় কর্মী-সমর্থকের পাল্লা ভারী হচ্ছে দিন দিন। ফলে রাফিউর রহমানে আশার আলো দেখছে দলের তৃণমূল। রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি সম্পর্কে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজহারুল ইসলাম বলেন, দলকে শক্তিশালী করার সক্ষমতা তার রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহীন আলম বলেন, রাফিউর রহমান নিয়মিত দলীয় কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছেন। দল তার দ্বারা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন। উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী ও মির্জাপুর পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রওশন আরা বলেন, রাফিউর রহমান ভদ্র মানুষ। তিনি রাজনীতিতে আসছেন সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করবেন এটাই প্রত্যাশা করি। রাফিউর রহমান ইউসুফজাই বলেন, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য। দলের মূল ধারায় থাকা ও নানা কারণে দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা সবাইকে নিয়ে আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এ ছাড়া এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে তৃপ্তি ও আনন্দবোধ করি।