ওভাররাইটের ক্ষমতা ১ শতাংশ করে আইন সংশোধন চায় ইসি

ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ না মিললে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিতে পারবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) এই বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এই প্রস্তাব আইনের অংশ হয়ে গেলে কোনো ভোটকেন্দ্রে ১ শতাংশের বেশি ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ না মিললে তারা আর ভোট দিতে পারবেন না। গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনে তার দপ্তরে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। 
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, যাদের হাতের আঙ্গুলের ছাপ মেলে না, তাদের তো ভোট দেয়ার অধিকার রয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভোটার সম্পর্কে নিশ্চিত হলে ভোট দেয়ার সুযোগ দেন। এখানে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শুধু ভোট দেয়ার অনুমতি দেন। ওই ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে নিজের ভোট নিজেই দিয়ে থাকেন। এটার একটা সীমা আছে। ওই ভোটকেন্দ্রের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেয়ার সুযোগ প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আছে। এ বিষয়ে আলাদা রেকর্ড রাখা হয়।
তিনি বলেন, এই বিষয় নিয়ে যাতে সংশয় তৈরি না হয়, সেজন্য এটাকে আইনের কাঠামোতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইসি আইন মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব দেবে। 

সাধারণত ১ শতাংশের বেশি ভোটারের ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজন হলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে থাকেন। তবে ইসির এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সে সুযোগ আর থাকবে না। এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ১ শতাংশের বিষয়টি আইনি কাঠামোতে এলে ওই বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে না। এক্ষেত্রে ১ শতাংশের বেশি হলে তারা ভোট দিতে পারবেন না।

এতে ভোটারের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে এটা করা হচ্ছে। এটি নিয়ে যেহেতু সন্দেহ করা হয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাই বৃহত্তর স্বার্থে ইসি এটি করতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখন সব ভোটারেরই ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হচ্ছে। এটি হলে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে আর সমস্যা হবে না। কারণ, কোনো না কোনো আঙ্গুলের ছাপ মিলবে। তখন ১ শতাংশের জন্যও এই সুযোগের প্রয়োজন হবে না।