কলকাতা কথকতা
১৯ তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি বৈধ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মমতার বিশাল জয়
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১০ অপরাহ্ন

১৯ তৃণমূল নেতা - মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধিতে কোনও অসংগতি নেই, তাই এই তদন্তে ইডির যুক্ত হওয়ার কারণ নেই। কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যে একটি বিরাট জয়। সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছে ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এই এগারো বছরে নেতা মন্ত্রীদের আয় বাড়া অত্যন্ত সঙ্গত এবং ন্যায্য পথে হয়েছে। তাই, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তৃণমূল মনে করছে এই জয় তাদের অসাধারণ জয়। কারণ, জনস্বার্থের মামলা হলেও এই মামলার পিছনে যে বিজেপি ছিল তা জলের মত পরিষ্কার। রাজ্য বিজেপির গালে চুনকালি পড়লো বলেই তাদের ধারণা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, সাময়িকভাবে অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলেও, ন্যায়ের জয় হবেই। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বিষয় টিকে বিজেপির চক্রান্তের পরাজয় বলে বর্ণনা করেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট সম্পত্তি মামলায় ইডিকে যুক্ত করার যে নির্দেশ দিয়েছিলো তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানেই স্বস্তি পেলেন ১৯ জন। যে ১৯ জনের সম্পত্তি ও আয়ের মধ্যে ফাঁকের কথা বলা হয়েছিল তাঁরা হলেন, ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা প্রভৃতি। এই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই নেতা মন্ত্রীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পত্তি বাড়িয়েছেন এমন কোন প্রমাণ নেই। তাই, ইডির এই তদন্তে জড়ানোর প্রশ্নই ওঠেনা। নিজেদের আয় বাড়তেই পারে, কেউ কেউ পরিবারগত সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন। এই নিয়ে কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়নি যে ইডিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। বিপ্লব কুমার চৌধুরী ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামের দুজন এই মামলা এনেছিল। তৃণমূল বিশ্বাস করে এরা মুখোশ মাত্র, আসল মুখ বিজেপির।