খেলা
‘লিটন-আফিফরা এখনো তামিম-মুশফিক হয়ে যায়নি’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবারটি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম। পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শুধু অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানই আছেন নেতৃত্বে। সিনিয়রদের একের পর এক বিদায়ে দলের পাইপলাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেখছেন আশার আলো। দলে সুযোগ পাওয়া আফিফ হোসেন, লিটন দাসরা এখনও মুশফিক-তামিমদের মতো হতে না পারলেও তাদের ওপরই আস্থা রাখতে চান তিনি। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখন আমাদের দলে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা ভালো খেলছে কিন্তু ওদের সময় দিতে হবে। আফিফ কিন্তু এখনও মুশফিক বা মাহমুদুল্লাহ হয়ে যায়নি। সোহানও না। লিটন দাস এখনও তামিমের কাছাকাছি যায়নি।
পেসারদের কম্বিনেশন আর মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে পাপন বলেন, ‘পেস বোলিংয়ে এখন নিশ্চিত কেউ নেই। খেলাবে কাকে এটাই তো এখন জানি না। পেস ইউনিটে অপশন বেশি। মোস্তাফিজ নিসন্দেহে আমাদের এক নম্বর চয়েজ। আমাদের ধারণা সে কামব্যাক করবে। করা উচিত। যে মেজর শক্তি (কাটার) ওর ছিল সেটা এখন ওর থেকে দেখছি না। তবে সে ফিরবে, ঠিক হয়ে যাবে।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে বাংলাদেশ দল। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আসলে ওপেনিংয়ে ট্রাই করছে তারা। সাব্বিরের ওপেনিংয়ে নামার কথা শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম। কারণ ওকে তো দেখি নাই ওপেন করতে। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে আরও কিছু ট্রাই করবে। এরপর ঠিক করবে। বিশ্বকাপে এবার যে দল খেলবে এটাকে আমরা কন্টিনিউ করবো পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত। এতদিন শুনতাম পাইপলাইনে ক্রিকেটার নেই। এবার তো সাকিবও খেললো না। নতুন কোচ এসে দেখতে চাচ্ছে। সবাইকে ট্রাই করতে চাচ্ছে। ওই সময় লিটন-রাব্বি-সোহান ইনজুরড ছিল, অপশন ছিল না। তো অন্যরা খেলেছে, ওদের দেখে মনে হয়েছে ওদের ভবিষ্যত আছে। সৌম্য এবং শান্তর কথা বললে একটা কমন জিনিস আমাদের দেশে যেটা হয় যে লেফট-রাইট অপশন। তামিম যেহেতু খেলছে না তাহলে এই দুই অপশন আছে। এখন যদি লেফট-রাইট অপশনে খেলাতে হয় তাহলে অভিজ্ঞতার বিচারে সৌম্য এগিয়ে। কিন্তু সে তো আমাদের জাতীয় দলের সঙ্গেই নেই। হঠাৎ করে কীভাবে খেলবে। এদিকে টেস্টে অভিজ্ঞতা আছে শান্তর। এই অভিজ্ঞতার দিক থেকে কিছুটা লোড সঙ্গে রাখা হলো। এখন অস্ট্রেলিয়ায় যদি অভিজ্ঞতার দরকার হয় তাহলে এই অপশন রইলো।’
আফিফ-মিরাজদের পারফরম্যান্সে টিম কম্বিনেশনে স্থিতিশীলতা এসেছে অনেকখানি। যেটি গত সিরিজগুলোতে দেখা যায়নি। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এমন অবস্থা ছিল যে টিম কম্বিনেশনই বানানো যাচ্ছিল না। আমাদের একটা চিন্তা ছিল নতুন কিছু ছেলে আনতে হবে। ওদিক থেকে যদি দেখেন, সাকিব ছাড়া সবাই পরের জেনারেশনের। এর মধ্যে কয়েকটা ছেলের খেলা অসম্ভব ভালো লাগে। লিটন, সোহান, আফিফের ব্যাটিং দেখতে ভালো লাগে। ওরা প্রতিদিন রান করবে এমন নয়। মিরাজের খেলা দেখেন, কোনো না কোনো বিভাগে ভালো করছে।’
প্রতিপক্ষ হোক আরব আমিরাত, তাদের বিপক্ষে দুটি জয়কে বাংলাদেশের আত্মবিশ^াসের রসদ বলেই মনে করছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘যে জিনিসটা মাথায় ঢুকছিল নাÑ জেতা ম্যাচগুলো হারছি কীভাবে! গত বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজের সঙ্গে ওই ম্যাচ দুটো। উইন্ডিজের সঙ্গে হারার কোনো কারণ নেই। আবার এশিয়া কাপে দেখেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচটাও হারার কোনো কারণ নেই। আমরা শেষে গিয়ে ৩ ওভারে হেরে যাচ্ছি। অথচ ১৫ ওভারের মধ্যে ভালো খেলছি। এদিক থেকে যদি বলতে হয় এই দুটি ম্যাচ জেতা ওদের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ। ওখানের কন্ডিশন, উইকেট, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে দলের অনেকের কোনো ধারণা নেই। ওখানকার পরিবেশের সঙ্গে আরব আমিরাতের কোনো মিল নেই। তবে নিউজিল্যান্ডে যে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে ওখানে খেলা অবশ্যই কিছুটা হেল্প করবে।’