বাংলারজমিন
মির্জাপুরে ফাঁড়ির হাজতখানায় আসামির মৃত্যু
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবারটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলার বাঁশতৈল ফাঁড়ির হাজতখানায় লেবু সিকদার নামের (৫৫) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাঁশতৈল গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে। গতকাল ভোরে হাজতখানার টয়লেটের ভ্যান্টিলেটরের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো ও ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লেবু সিকদার আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও এ বিষয়ে বাঁশতৈল ফাঁড়ির ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে লেবু সিকদারের ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। তা না হলে হাজত খানার ভেতর রশি আশে কোথা থেকে। হাজতখানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য তখন কী করছিলো, চাচার লাশ নামানোর সময় আমাদের পরিবারের কাউকে রাখা হলো না কেন? লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় উপস্থিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, হাজতখানা ও টয়লেট পাশাপাশি। সুরতহাল করার সময় আমরা তাকে টয়লেটের ভ্যান্টিলেটরের রডের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি। প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার বাঁশতৈল গ্রামে নিজ ঘর থেকে সখিনা বেগম নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে পরিবারের এমন দাবিতে সখিনার কথিত প্রেমিক লেবু সিকদার ও সাবেক স্বামী মফিজুরকে আটক করে পুলিশ। এরপরই বুধবার ভোরে হাজতখানায় মৃত ও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় লেবু সিকদারকে। উল্লেখ্য যে, সখিনা বেগমের সঙ্গে লেবু সিকদারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরেই স্বামী মফিজুরের সঙ্গে কয়েক বছর আগে তালাকের ঘটনা ঘটে এবং সখিনা-লেবু সিকদারের সম্পর্ক নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশও হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের পূর্ণ ধারণা লেবু সিকদার আত্মহত্যা করেছেন তবে ময়নাতদন্তের পর স্পষ্টভাবে বলা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।