বিনোদন
হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাৎ মামলায় সমন
স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার, ৪:০৫ অপরাহ্ন

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ২৫ অক্টোবর আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন। প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন গত বছর ২৯ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার আবেদন করেন। মামলায় শাওন আসামি করেছেন, মুক্তধারা প্রকাশনী যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহার সাবেক স্ত্রী রুমা চৌধুরী এবং মঞ্জুরুল আজিম পলাশ নামে আরেকজনকে। মামলার আরজিতে বিশ্বজিৎ সাহার নাম এলেও আসামির তালিকায় তাকে রাখা হয়নি। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ক্যান্সারাক্রান্ত হুমায়ূন ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নেওয়ার সময় সেখানেই ছেলে নিষাদকে নিয়ে ২৪টি ছবি এঁকেছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় বিশ্বজিৎ ও তার তৎকালীন স্ত্রী রুমার সঙ্গে হুমায়ূনের ঘনিষ্ঠতা হয়। তখন হুমায়ূন তার আঁকা ২৪টি ছবি প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য ওই বছরের জুন মাসে দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল প্রদর্শনী শেষে তারা ছবিগুলো হুমায়ূন আহমেদের কাছে ফেরত দেবেন। হুমায়ূনের মৃত্যুর পর অভিনেত্রী শাওন সন্তানসহ দেশে ফিরে আসেন। এরপর ছবিগুলো ফেরত চাইলে বিশ্বজিৎ ও রুমা টালবাহানা শুরু করেন। তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় রুমা তার সাবেক স্বামী বিশ্বজিৎকে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের মিরপুরের পল্লবীর বাসায় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২০টি ছবি ফেরত পাঠালেও চারটি ছবি ফেরত পাওয়া যায়নি। ছবিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে শাওন বলেছেন, এগুলো হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ দিনগুলোতে তার সঙ্গে নিষাদের কাটানো সময়ের স্মৃতিবিজড়িত। আসামিদের কাছ থেকে ছবিগুলো উদ্ধার করা না গেলে তা বেহাত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে শুধু প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের পরিবারই নয়, দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।