ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত মণিকা কাপুরের

মানবজমিন ডিজিটাল

(১৯ ঘন্টা আগে) ১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩:২২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

দু’দশকের দৌড় শেষ। আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মণিকা কাপুরের হেফাজত নিয়েছে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। তিনি আমদানি-রফতানি প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত। ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন  মণিকা।

সিবিআই  জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সহায়তায় তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তাকে ভারতে আনা হচ্ছে। কাপুর ২০০২ সালের একটি হাই-প্রোফাইল প্রতারণামূলক আমদানি-রপ্তানি মামলায় অভিযুক্ত। সিবিআই জানিয়েছে, ভারতে এনে মণিকা কাপুরকে দিল্লির আদালতে হাজির করা হবে এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মণিকা কাপুর ছিলেন ‘মণিকা ওভারসিজ’-এর কর্ণধার। তার দুই ভাই, রাজন খান্না ও রাজীব খান্নাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ভারতের রত্ন ও অলঙ্কার রফতানির নামে ভুয়া শিপিং বিল, চালানপত্র ও ব্যাংক সার্টিফিকেট তৈরি করে সরকারের কাছ থেকে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে এই লাইসেন্স তারা  প্রিমিয়ামে বিক্রি করেন আহমেদাবাদ-ভিত্তিক ‘দীপ এক্সপোর্টস’ নামক এক সংস্থাকে। সেই সংস্থা এই লাইসেন্স ব্যবহার করে শুল্কমুক্ত সোনা আমদানি করে, যার ফলে সরকারের প্রায় ১.৪৪ কোটি রুপি  ক্ষতি হয়। 

বিশদ তদন্তের পর সিবিআই ৩১শে মার্চ, ২০০৪-এ তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র), ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৭(জালিয়াতি)সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় চার্জশিট দাখিল করে। রাজন এবং রাজীব খান্নাকে ২০ ডিসেম্বর ২০১৭-এ সাকেত জেলা আদালতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ভাইয়েরা সাজা পেলেও মণিকা কাপুর ১৯৯৯ সাল থেকেই পলাতক ছিলেন। 

২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘প্রোক্লেইমড অফেন্ডার’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সালের অক্টোবরে ভারত সরকার তার প্রত্যর্পণ চায়। ২০১২ সালে নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট তা অনুমোদন করে। কিন্তু মণিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিবের কাছে আপিল করেন, দাবি করেন যে ভারতে তাকে নির্যাতনের মুখে পড়তে হবে। তিনি জাতিসংঘের ‘কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার’-এর অধীনে রক্ষাকবচ পাওয়ার দাবিও জানান। তবে আমেরিকার বিদেশ সচিব সেই আপিল খারিজ করে তার প্রত্যর্পণের আদেশে সই করেন। এর পরও দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলে যুক্তরাষ্ট্রের নানা আদালত ও প্রশাসনিক মহলে। অবশেষে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কোর্ট অফ অ্যাপিলস ফর দ্য সেকেন্ড সার্কিট’ মণিকা কাপুরের প্রত্যর্পণ বহাল রাখে।  

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

পাঠকের মতামত

ভারতীয় বলে কথা সকল জঘন্য কাজ সবসময় ওদের রক্তে মিশে থাকে

MR-JOY.
১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:৪৯ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status