অনলাইন
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন জিএম কাদের, চুন্নুই জাপার বৈধ মহাসচিব
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:৫০ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে নেতাদের দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার অভিযোগ করেছেন সদ্য বহিষ্কৃত সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, এখনো মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। অব্যাহতি পাওয়া নেতারা স্বপদে আছেন। আর শামীম হায়দার পাটওয়ারীকে মহাসচিব নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ।
মঙ্গলবার গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন অব্যাহতি পাওয়া এই নেতা। অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জিএম কাদের যে প্রেসিডিয়াম বৈঠকের রেফারেন্স দিয়েছেন তাও অস্বীকার করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রথমত ওই প্রেসিডিয়ামের সভায় কোরাম হয়নি। আর গঠনতন্ত্রের ২০/৩(খ) ধারায় বলা হয়েছে- মহাসচিব চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে, প্রেসিডিয়ামের মিটিং আহ্বান করবেন। আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করবেন মহাসচিব। পার্টির চেয়ারম্যান মিটিং ডাকার এখতিয়ার রাখেন না। সম্মেলন ঘোষণার পর পার্টির কোনো পদে পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে পারবেন না।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে আমরা গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করেছি। আমরা পার্টির বিরুদ্ধে কী কাজ করেছি। আমরা বিবৃতি দিয়ে বলেছি ২০ এর ১ (ক) ধারা বাতিল করতে বলেছি, হিসাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছি। আমাদের এসব কাজ কোনোভাবেই দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায় সকলেই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে দলের সঙ্গে রয়েছি। আমিও এই পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলাম, আমাকে যখন ঘোষণা করা হয়, তখন পার্টির চেয়ারম্যান আমার পাশে বসে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর জিএম কাদের জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছেন। একজন মৃত্যু পথযাত্রী ছিলেন। ঠিক যেভাবে মিলিটারি ক্যু হয় সেভাবে করা হয়েছে।
পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং কাউন্সিলের মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি। বলেন, কাউন্সিল ঘোষণার পর কাউকে অব্যাহতি দেওয়া কিংবা প্রমোশন দেয়া অবৈধ। বিগত নির্বাচনে আড়াই কোটি টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। সেই টাকার কোনো হিসাব দেননি। পার্টির চাঁদা এবং অনুদানের কোনো হিসাব দেননি তিনি। আমরা তার কাছে এসবের হিসাব চেয়েছি। এটাতো গঠনতন্ত্রবিরোধী হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টি ছোট হতে হতে এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করেন কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে জাতীয় পার্টি আগামী দিনে অনেক ভালো করতে পারবে। তিনি বলেন, জিএম কাদের একেএকে সবাইকে বের করে দিয়েছেন। আমরা সবাই চাই একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এটি ইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রত্না, নাজমা আক্তার, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, মো. হারুন আর রশিদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আমানত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সম্পাদক- শারমিন পারভীন লিজা, ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা - মিজানুর রহমান দুলাল, আব্দুস সাত্তার, জিয়া উর রহমান বিপুল, তাসলিমা আকবর রুনা, আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম সেলিম, এস এম হাশেম, সিরাজুল আরিফিন মাসুম, চিশতি খায়রুল আবরার শিশির, হানিফ হোসেন বাবু, ফয়সাল সালমান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সোমবার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দেন জিএম কাদের। সেইসঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন।
পাঠকের মতামত
এগুলো জাতীয় বেইমান,এদের রাজনীতির মাঠ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করা উচিৎ।
তোমরা জাপায় যারা আছো সবাই দেশ ও মানুষের শত্রু। তোমাদের কোনো আদর্শ নেই, চরিত্র নেই।
সবগুলো হাসিনার দালাল।
সবগুলোকে ধরে কারাগারে পাঠানো উচিত। অপরাধ,সৈরাচারের দোসর হিসেবে।
Sob era fasibader Dosor… immediately arrest kora dorkar
রওশন এরশাদের নেতৃত্বে এই ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে জাতীয় পার্টি হাসিনার দালালি করেছে। এই গ্রুপটা এতটা আওয়ামী পন্থী আওয়ামীলীগ ও এদের কাছে ফেল। এদের কারণে জাতীয়পার্টি হাসিনার অধীনে অবৈধ নির্বাচন গুলোতে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হতো।
Why not arrested them yet. They are Fascist
রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টির আর পাবলিক বৈধতা নেই।
তোমরা জাপায় যারা আছো সবাই দেশ ও মানুষের শত্রু। তোমাদের কোনো আদর্শ নেই, চরিত্র নেই। তোমাদের সব কয়টাকে গুলিস্তান নূর হোসেন চত্ত্বরে নিয়ে জুতোপেটা করতে করতে মেরে ফেলা উচিত।
If JP is banned then no one will quarrel.