দেশ বিদেশ
শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার আচরণ ‘অপমানজনক’ মন্তব্য আইনজীবীর
মানবজমিন ডিজিটাল
৫ জুলাই ২০২৫, শনিবারআহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ দুর্ঘটনায় যাদের প্রিয়জন মারা গেছেন তাদের পরিবারের আইনজীবী বলেছেন, শোকাহত আত্মীয়দের প্রতি বিমান সংস্থার ‘অমানবিক’ আচরণে তিনি ‘ক্ষুব্ধ এবং আতঙ্কিত’। এয়ার ইন্ডিয়া এই অভিযোগকে মান্যতা দিতে চায়নি। বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের দাবি- এয়ারলাইন্স জোর করে তাদের বিভিন্ন কাগজে সই করিয়ে নিচ্ছে। আর্থিকভাবে তারা কার উপরে নির্ভরশীল, সেই তথ্যও জানাতে বাধ্য করছে। এইভাবেই ক্ষতিপূরণের বিপুল বোঝা কমানোর চেষ্টা করছে এয়ারলাইন্স। একজন নয়, এই অভিযোগ করেছেন কমপক্ষে ৪০ জন নিহতের পরিবার। স্টেওয়ার্ড নামক ইংল্যান্ডের একটি ল’ ফার্মকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার ক্লেম স্যাটেল করার জন্য। আহমেদাবাদের নানাভাই অ্যান্ড নানাভাই ফার্মও কাজ করছে এয়ার ইন্ডিয়া, বোয়িংসহ একাধিক পার্টি, যাদের বিমান দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করার জন্য। ইংল্যান্ডের ওই ল’ ফার্মের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে একটি প্রশ্নপত্র পূরণ করতে বাধ্য করাচ্ছে এডভান্সড পেমেন্টের জন্য। কীভাবে সেই ফর্ম পূরণ করতে হবে, কী কী শর্ত দেয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে নিহতদের পরিবারকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। বরং তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে যে, ফর্ম ঠিকভাবে পূরণ না করলে, এক টাকাও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না। যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি- এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য। যারা ক্ষতিপূরণ দাবি বা ক্লেম করতে আসছেন, তাদের সঙ্গে নিহতদের কী সম্পর্ক, তা জানার জন্যই ওই ফর্ম পূরণ করানো হচ্ছে। পরিবারগুলোর উপরে কোনো চাপ তৈরি করা হচ্ছে না। সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিমান সংস্থা দ্রুত এবং মসৃণভাবে সঠিক ব্যক্তির কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব সহজ করার চেষ্টা করেছে।’ তারা যোগ করেছেন, ‘পরিবারগুলোর জন্য এই অসম্ভব কঠিন সময়ে যত দ্রুত এবং সুচারুভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’ মুখপাত্র বলেন, এয়ার ইন্ডিয়া ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের তাৎক্ষণিক আর্থিক চাহিদা মেটাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দুর্ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই প্রথম অর্থ প্রদান করা হয়েছে।’
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান