দেশ বিদেশ
টুণ্ডা বাবু কারাগারে রোববার রিমান্ড চাইবে পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার
৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কব্জিকাটা গ্রুপ’-এর অন্যতম সদস্য ও কিশোর গ্যাং নেতা মো. বাবু খান ওরফে টুণ্ডা বাবু (৩১)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বৃহস্পতিবার রাতে আদাবর থানায় হস্তান্তর করে। বাবু খানের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। শুক্রবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রোববার তাকে দু’টি মামলায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এর আগে গত বুধবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে বাবু খান ওরফে টুণ্ডা বাবুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর একটি দল। বাবু খান মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র্যাব কর্মকর্তাদের বলেছেন, মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারের প্রধান সহযোগী তিনি। র্যাব জানিয়েছে, কব্জিকাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ারের নির্দেশে তিনি মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিল। সাধারণত দিনের বেলায় তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকার কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে। এভাবে তারা টাকা, মুঠোফোন, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনতাই করে। রাত গভীর হলে তারা বাসাবাড়ি ও ফ্ল্যাটে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করে। এ ছাড়া তারা গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সবকিছু লুট করে। সে ও তার গ্যাংয়ের লোকেরা বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারে জড়িত। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামলী হাউজিংয়ের ২ নম্বর প্রজেক্টে বাবুকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। ২৪শে ফেব্রুয়ারি বাবুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৫ই মে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। এরপর সে আগের মতোই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সমপ্রতি মোহাম্মদপুর এলাকায় র্যাব-২ এর অভিযানে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো. সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম, কব্জিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারকে তাদের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।