দেশ বিদেশ
৪৪তম বিসিএস’র ফল পুনর্বিবেচনার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
স্টাফ রিপোর্টার
৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
৪৪তম বিসিএস’র ফল পুনর্বিবেচনার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন অসন্তুষ্ট চাকরি প্রার্থীরা। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে আন্দোলনকারীরা শাহবাগে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘পিএসসির কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সংস্কার সংস্কার, পিএসসি সংস্কার’, ‘ইন্টেরিম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের কথা সবাই জানে। তবু সরকার কার্যত কোনো সমাধান করতে পারেনি। তারা এসব পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে প্রিলি, রিটেন ও ভাইভার নম্বরও চান। বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা জানান, প্রতি বিসিএসে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে ৪০০ থেকে ৫০০টি পদ সাধারণত বাড়ানো হয়। কিন্তু এবার জেলা প্রশাসন থেকে অতিরিক্ত পদ সুপারিশ করা হলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সেগুলো আটকে আছে। তারা বলেন, এবার প্রায় ৬০ শতাংশ পদ পুনরায় সুপারিশ করা হয়েছে, যেগুলো মূলত খালি থাকার কথা নয়। অথচ এসব পদ অন্তর্ভুক্ত না করেই রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনরায় মূল্যায়ন করে নতুন করে প্রকাশ করতে হবে। শাহবাগে অবস্থানকালে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে তৎপরতা শুরু করে। এ সময় আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা শাহবাগ ছেড়ে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে এসে অবস্থান নেন। তারা দাবি করেন পুলিশ হামলা করে তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ৪৪তম বিসিএস’র ফল পুনর্বিবেচনার পাশাপাশি পিএসসি সংস্কারসহ ১০ দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। আন্দোলনকারীরা বলেন, শাহবাগে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা অপেশাদার দায়িত্ব পালন করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে যেসব পুলিশ হামলা করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেইসঙ্গে পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের জন্য আমাদের যে ১০ দফা দাবি ছিল, তা মেনে নিতে হবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাজুতে দিনরাত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, খাদ্য অধিদপ্তরসহ ১৬তম গ্রেড পর্যন্ত সব নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের মিল যাচাই করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান; অতীতে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নফাঁস গোপন রেখে পরীক্ষা নেয়ার ঘটনা তদন্ত করে প্রকাশের আহ্বান; প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত ব্যক্তি, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।