ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডিবি পরিচয়ে প্রতারণা করতো ওরা!

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতো তারা। দাবিকৃত টাকা না দিলে গুম করার হুমকি দিতো। এ সময় কৌশলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে ফ্ল্যাটে ডেকে আপত্তিকর ছবি তুলে প্রতারণা করতো চক্রটি। এভাবে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের  সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পরিচয়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে চক্রটি। সম্প্রতি উত্তরা থেকে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার শেষে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। সূত্র জানায়, চক্রের নারী সদস্যরা ভিক্টিমকে কৌশলে বাসায় ডেকে এনে জিম্মি করে আপত্তিকর ছবি তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। এ চক্রের প্রধান মোহাম্মদ মজনু ও তার বান্ধবী রওশন আরা রুমা।  রুমা তার টার্গেটকৃত ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ভুলে টাকা চলে গেছে বলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। এক পর্যায়ে বাসায় ডেকে আনে। পরে মজনু চক্রের বাকি সদস্য নিয়ে ওই ব্যক্তিকে জিম্মি করে।

বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া আপত্তিকর ছবি তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সূত্র জানায়, মজনু একটি বেকারিতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। সেই দোকানেরই মালিক আল আমিন। গত ১১ই জুলাই তাকে ফোন করে রুমা। চালাকি করে এর আগেই তার মোবাইলে ৫০ টাকা ফ্ল্যাক্সি করে পাঠান রুমা। এরপর ভুলে টাকা চলে গেছে বলে নিয়মিত কথা বলতে শুরু করে। এভাবে কয়েক দিন কথা বলার পর একদিন রুমা আল আমিনকে তার বাসায় দাওয়াত দেন। 

আল আমিন বাসায় যান। যাওয়ার সময় মজনুকেও নিয়ে যান। বাসায় যাওয়ার পর মজনু বাইরে যাবেন বলে বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন প্রবেশ করে তারা আল আমিনকে মারধর শুরু করে। রুমার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য করে। পরে তারা আল-আমিনের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে গুম করার হুমকি দেয়। আল আমিন একপর্যায়ে তাদের সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও ৩৭ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। সেখান থেকে বেরিয়ে এ ঘটনায় উত্তরার পশ্চিম থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চক্রের মোট ৮ জন সদস্যের সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের তিন সদস্য মোহাম্মদ মজনু, রওশন আরা রুমা ও আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করলেও চক্রের অন্য সদস্যরা পলাতক ছিল। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন মানবজমিনকে বলেন, মোহাম্মদ মজনু, রওশন আরা রুমা ও আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে প্রতারণা করে আসছিল। টাকা না দিলে গুম করার হুমকি প্রদান করতো চক্রটি। এখন পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের চক্রে মোট আটজন সদস্য রয়েছে। চক্রের ৫ সদস্য এখনো পলাতক রয়েছে।

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status