পদ্মায় তীব্র ভাঙন সরানো হচ্ছে বিদ্যালয়

চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হুমকির মুখে পড়েছে পাঁকা নারায়ণপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়। ভাঙন থেকে বাঁচতে স্কুলটির সব মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকি মুক্ত রাখতে বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম।  জানা গেছে, আগ্রাসী পদ্মার ভাঙনের কারণে স্কুলটি শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের নিশিপাড়া চরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। দক্ষিণপাড়া থেকে নিশি পাড়ার দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। নারায়ণপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম আলী বলেন, প্রতি বছরই পদ্মার ভাঙনে আবাদি জমিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা বিলীন হয়। নিঃস্ব হয়েছেন অনেক মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে জিওব্যাগ দিয়ে পদ্মার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হলে অনেক জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়া থেকে মুক্তি পাবে। পাঁকা নারায়ণপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন বলেন, পদ্মা নদী ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টি শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়নের নিশিপাড়ায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

এর আগে কয়েকবার নদীভাঙনের জন্য বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়েছে। আপাতত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। এখানে পাঁকা আর নারায়ণপুরের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, সরজমিন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত নিয়ে স্কুলটি নিশিপাড়া চরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যালয়টি সরিয়ে না নিলে ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যেত। বহু টাকার সম্পদের ক্ষতি হতো।