ঢাকা, ৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

বেহুদা প্যাঁচাল

সন্তোষের মা, চা শ্রমিক এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

শামীমুল হক
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবারmzamin

বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চা শ্রমিকরা দৈনিক ২৩২ রুপি পেয়েও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন। শ্রীলঙ্কা ও নেপালসহ শীর্ষ চা উৎপাদনকারী দেশ চীন ও কেনিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের মজুরি অনেক কম। প্রতি দুই বছর পর পর চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর চুক্তি হওয়ার কথা। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।  ২০২০ সালের ১৫ই অক্টোবর শ্রীমঙ্গলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তিতে চা শ্রমিকদের মজুরি ১০২ টাকা থেকে ১২০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা। মজুরি বাড়ানোর চুক্তি সই করতে চা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলেও মালিক পক্ষ আলোচনায় আসেনি। এ অবস্থায় চা শ্রমিক ইউনিয়ন গত ৯ই আগস্ট থেকে কর্মবিরতি শুরু করে।

বিজ্ঞাপন
আর শনিবার থেকে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন। বাগানে বাগানে মিছিল, সমাবেশ, পথসভা ও সড়ক অবরোধের কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সংকট নিরসনের চেষ্টা করেন। তিনি চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান জরুরি। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম একটি খাত চা শিল্পকে বাঁচাতেই এর সমাধান প্রয়োজন।  


চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য। চা গাছের ফাঁকে ফাঁকে পিঠে ঝুড়ি নিয়ে কাঁচা চা পাতা তোলা শ্রমিকদের সৌন্দর্য যে কাউকে আকর্ষণ করে। তাই তো দলে দলে লোকজন ছুটে যান চা বাগানে। কখনো পিকনিক করতে, কখনোবা পরিবার নিয়ে ঘুরতে। বাগানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেন। কখনো শ্রমিককে পাশে নিয়ে ছবি তুলেন। শ্রমিকের হাসিমাখা মুখের এ ছবি স্মৃতি হয়ে থেকে যায় আজীবন। কিন্তু শ্রমিকের এ হাসির আড়ালে যে রাজ্যের কষ্ট তা কি কেউ বুঝতে পারে? সহকর্মী দৈনিক মানবজমিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাজেদুল হক তার ফেসবুক টাইমলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সন্তোষ রবিদাস অঞ্জনের একটি আকুতির কথা তুলে ধরে লিখেছেন- সন্তোষের ইচ্ছাটা পূর্ণ হোক। সন্তোষ লিখেছেন- মৌলভীবাজার জেলার শমসেরনগরে ফাঁড়ি কানিহাটি চা বাগানের এক চা শ্রমিক পরিবারের ছেলে আমি। জন্মের ছয় মাসের মাথায় বাবাকে হারিয়েছি। মা চা বাগানের শ্রমিক। তখন মজুরি পেতেন দৈনিক ১৮ টাকা। সেই সময় আমাকে পটের দুধ খাইয়ে, অন্যের বাসায় রেখে মা যেতেন বাগানে কাজ করতে। 

২০০৭ সালে আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। মায়ের মজুরি তখন ৮৮ টাকা। এক দিন বললেন, বাজারে গিয়ে পাঁচ কেজি চাল নিয়ে আয়। সেই চাল দিয়ে এক মাস চলেছে আমাদের। পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি মা চাল ভাজলেন। পলিথিনে সেই ভাজা চাল, আটার রুটি আর লাল চা একটা বোতলে ভরে গামছায় প্যাঁচালেন। আর আমাকে আটার রুটি ও লাল চা দিলেন। দুপুরে খেতে গিয়ে দেখি শুধু পিয়াজ, শুকনা ভাত, তেল আর লবণ আছে। তা দিয়ে মেখে খেলাম। রাতেও কোনো তরকারি ছিল না। তখন পাশের বাসার কাকু আমাকে ডেকে কুমড়া আর আলু দিয়েছিলেন, যা দিয়ে আমরা দুইটা দিন পার করেছিলাম। তখন কুপি বাতির আলোয় পড়তাম। মা আগেই রেডি করে দিতেন বাতি। তেল শেষ হয়ে গেলে আর পড়া হতো না। দোকানদার বাকিতে তেল দিতেন না। পঞ্চম শ্রেণির পর ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন স্কুলে পাঁচ বছরের জন্য ফ্রি পড়ালেখার সুযোগ পাই। মা অনেক খুশি হয়েছিলেন। তখন তার সামান্য আয়ের একটা অংশ থেকে আমাকে টিফিন খাওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা দিতেন। ২০১৩ সালে বিএএফ শাহীন কলেজে ভর্তি হই। তখন মা ১০২ টাকা করে পেতেন। এই সময়ে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কিস্তি তুলে আমার ভর্তির টাকা, ইউনিফর্ম আর বই-খাতা কিনে দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর। মায়ের হাতে টাকা নেই। তখন এইচএসসি’র রেজিস্ট্রেশন চলছিল। মা ৫০ টাকার একটা নোট দিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেছিলেন, কেউ ধার দেয়নি রে বাপ। কলেজের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ধার নিয়ে সেবার রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছিলাম।  

 

 

এইচএসসি’র পর ভর্তি পরীক্ষার কোচিং। মা তখন আবার লোন নিলেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে। লোনের কিস্তির জন্য এই সময় মা বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে বালু শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বিনিময়ে পেতেন ৩০০ টাকা। আমি জানতাম ঘরে চাল নেই। শুধু আলু খেয়েই অনেক বেলা কাটিয়েছিলেন মা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলাম। মা তখন কী যে খুশি হয়েছিলেন! কিন্তু ভর্তির সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, মায়ের মুখটা তত মলিন দেখাচ্ছিল। কারণ চা বাগানে কাজ করে যা পান তা দিয়ে তো সংসারই চলে না। ভর্তির টাকা দেবেন কোথা থেকে! পরে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহায়তা করলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশনি করেই চলতাম। হলের ক্যান্টিনে ২০ টাকার সবজি-ভাত খেয়েই দিন পার করেছি। অনেক দিন সকালে টাকার অভাবে নাশতাও করতে পারিনি। দুর্গাপূজায় কখনো একটা নতুন জামা কিনতে পারিনি। ২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ মা হিসেবে উপজেলায় মাকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানানো হয়। পরে মায়ের নামটা কেটে দেয়া হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মা আমার চা শ্রমিক। স্টেজে উঠে নাকি কিছু বলতে পারবেন না। তাই নাম কেটে দিয়েছে! মা এখনো প্রতিদিন সকালে একটা বোতলে লবণ, চা-পাতা ভর্তা, আটার রুটি, সামান্য ভাত পলিথিনে ভরে নিজের পাতি তোলার গামছায় মুড়িয়ে নিয়ে দৌড়ান চা বাগানে। আট ঘণ্টা পরিশ্রম করে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান! এই মজুরিতে কীভাবে চলে একজন শ্রমিকের সংসার? আজকাল মায়ের শরীর আর আগের মতো সায় দেয় না। বলেন, তোর চাকরি হইলে বাগানের কাজ ছেড়ে দেবো। আমি এখন সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি...! সন্তোষের এ লেখায় তার কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন। তার এ লেখা যে কাউকে কাঁদাবে। কিন্তু চা বাগান মালিকরা তো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির  দোসর। তাদের কানে যায় না সন্তোষদের কান্না। চা শ্রমিকদের হাহাকার।  

এক সময় চা কী তা ভারতবর্ষের লোকজন জানতেনই না। ভারতবর্ষে চা চাষ শুরু করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কারণে এ উপমহাদেশ পরাধীনতার গ্লানি বয়ে বেড়াতে হয়েছে প্রায় দুইশ’ বছর। চা-বীজ, চারা ও যন্ত্রপাতির পাশাপাশি চীন থেকে দক্ষ শ্রমিক আনে তারা। একসময় বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তারা চীন থেকে শ্রমিক আমদানি বন্ধ করে দেয়। সেখানে দেশীয় শ্রমিক দিয়ে চা বাগানের কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। সুরমা ও বরাক উপত্যকা বর্তমান সিলেট ও আসাম অঞ্চল ছিল ভারতবর্ষের চা বাগানের একটা বড় অংশ। ড. সুকুমার বিশ্বাস রচিত ‘আসামে ভাষা আন্দোলন ও বাঙালি প্রসঙ্গ ১৯৪৭-১৯৬১’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আসামে শ্বেতাঙ্গ চা-করেরা যখন চা বাগান প্রতিষ্ঠা শুরু করেন, তখন স্থানীয়ভাবে চা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। আসাম সরকারের সহায়তায় তারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো চা শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করেন। বিহার, উড়িষ্যা, মাদ্রাজ, নাগপুর, সাঁওতাল পরগনা, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশ থেকে এসব চা শ্রমিককে নিয়ে আসা হয়। এ জন্য একটি স্বতন্ত্র বিভাগও চালু হয়। এ সময় আসাম সরকার ‘ইমিগ্রেশন অব লেবার অ্যাক্ট’ কার্যকর করে। চা বাগানের শ্রমিকদের তখন ডাকা হতো ‘কুলি’ নামে। চা শ্রমিকদের জন্য সরকারের কঠোর আইন, অপরদিকে চা মালিকদের প্রতি অপরিসীম ছাড় প্রদর্শনের এক অনন্য দলিল এই অ্যাক্ট। চা শ্রমিকের ব্যবস্থা হলেও চা বাগানের বিভিন্ন স্তরে তখনো পরিচালনব্যবস্থায় যোগ্য জনশক্তির অভাব ছিল। ফলে কয়েক হাজার বাঙালি এসব পদে নিয়োগ পান। 

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বেঙ্গল-আসাম রেলপথ স্থাপিত হলে পূর্ববঙ্গের ঢাকা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, ত্রিপুরা, রংপুর প্রভৃতি জেলা থেকে লাখ লাখ বাঙালি কৃষিজীবী, যাদের অধিকাংশই ছিলেন মুসলমান সমপ্রদায়ভুক্ত, তাদের কলোনাইজেশন স্কিমের আওতায় এনে তৎকালীন আসামের বিভিন্ন স্থানে অনাবাদি জঙ্গলাকীর্ণ জমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করা হয়। শুরু থেকেই এই শ্রমজীবী মানুষ ছিল চরম অবহেলিত।  কাজের ধরন অনুযায়ী শ্রমিকদের কাজের হিসাব সংরক্ষণ করা হতো যেখানে, সেটা ‘গার্ডেন বুক: ডেইলি কামজারি বুক’ নামে পরিচিত ছিল। এই বই থেকে তাদের কাজের বিপরীতে মজুরির প্রাপ্যতা হিসাব করা হতো। সরদার এবং মুহুরি মূলত এই হিসাব তদারকির দায়িত্ব পালন করতেন। শ্রমিকেরা সময় সময় তাদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও প্রতারণার শিকার হতেন। এসব সহ্য করেই তারা কাজ করে যাচ্ছিলেন।  ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের প্রভাব চা শ্রমিকদের স্পর্শ করেছিল। ২০শে মে ১৯২১। ‘মুল্লুকে ফিরে চল’ স্লোগানে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করেন। উদ্যোগ নেন নিজ নিজ অঞ্চলে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু ফিরে যাওয়া অত সহজ ছিল না। চা শিল্পের মালিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রেল দপ্তর শ্রমিকদের টিকিট দেয়া বন্ধ করে দেয়। যাতে শ্রমিকরা ফিরে যেতে না পারেন। বাধ্য হয়ে তারা চাঁদপুরের মেঘনা ঘাটমুখী হাঁটা শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ওপর চলে বৃটিশদের গুলিবর্ষণ। এতে মারা যান শত শত শ্রমিক। আর আহত হন হাজার হাজার। কিছু পালিয়ে যান। বাকিদের ধরে নিয়ে পুনরায় চা বাগানের কাজে বাধ্য করা হয়। 

কিন্তু তাদের জীবনমানে কোনো কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটেনি। ১৯৩৭ সালে চা শ্রমিকদের দুঃখগাঁথা নিয়ে রচিত হয় সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘টু লিভস অ্যান্ড আ বাড’। ইংরেজ সাহেবদের অত্যাচারের পটভূমিকায় লেখা মুলকরাজ আনন্দের এই উপন্যাসে চা-কে অলঙ্কৃত করে বলা হয়েছে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’। এরপর দেশভাগ হয়। কিন্তু সেই একই চিত্র। চা শ্রমিকরা প্রকট মজুরি বৈষম্যের শিকার। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও চা শ্রমিকদের ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি। তাই এখনো ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয়। বর্তমানে ১২০ টাকা মজুরিতে তারা আর কাজ করতে পারছেন না। দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি দাবি তাদের। চা বাগান মালিকরা এ টাকা দিতে গড়িমসি করছেন। চা বোর্ডের তথ্য অনুসারে দেশের ১৬৭টি চা বাগানে ৫ লাখের বেশি চা জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক প্রায় এক লাখ। একজন শ্রমিকের মজুরির ওপর কমপক্ষে ৫ জনের ভরণপোষণ নির্ভর করে।  বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চা শ্রমিকরা দৈনিক ২৩২ রুপি পেয়েও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন। শ্রীলঙ্কা ও নেপালসহ শীর্ষ চা উৎপাদনকারী দেশ চীন ও কেনিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের মজুরি অনেক কম। প্রতি দুই বছর পর পর চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর চুক্তি হওয়ার কথা। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।

 ২০২০ সালের ১৫ই অক্টোবর শ্রীমঙ্গলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তিতে চা শ্রমিকদের মজুরি ১০২ টাকা থেকে ১২০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা। মজুরি বাড়ানোর চুক্তি সই করতে চা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলেও মালিক পক্ষ আলোচনায় আসেনি। এ অবস্থায় চা শ্রমিক ইউনিয়ন গত ৯ই আগস্ট থেকে কর্মবিরতি শুরু করে। আর শনিবার থেকে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন। বাগানে বাগানে মিছিল, সমাবেশ, পথসভা ও সড়ক অবরোধের কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সংকট নিরসনের চেষ্টা করেন। তিনি চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান জরুরি। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম একটি খাত চা শিল্পকে বাঁচাতেই এর সমাধান প্রয়োজন।  

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

বেহুদা প্যাঁচাল/ অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status