বিশ্বজমিন
মুদ্রাস্ফীতি দুই অংকে: সরকার ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সমালোচনা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৫:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৬ অপরাহ্ন
চল্লিশ বছরের মধ্যে প্রথমবার মুদ্রাস্ফীতি দুই অংকে পৌঁছে যাওয়ায় বুধবার রাত থেকেই বৃটেনে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) তথ্য অনুযায়ী বৃটেনে জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল শতকরা ৯.৪ ভাগ। জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১ ভাগ। অনুমানের চেয়ে তা অনেক বেশি। ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটাই সর্ববৃহৎ মুদ্রাস্ফীতি। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড পত্রিকা।
এই অবস্থায় বৃটেনে জীবনধারণের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টিতে নেতৃত্বের লড়াইয়ে বিষয়টি বড় রকম প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি সরকার ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সমালোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কনজার্ভেটিভ দলের লর্ড রোজ সুপারমার্কেট চেইন আসদা’র চেয়ারম্যান। তিনি মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে ঘাটতি থাকাকে ‘হরিফাইং’ বা ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন।
বুধবার ওএনএসের বিশ্লেষণ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে, মুদ্রাস্ফীতি নিম্ন আয়ের মানুষদের ভোগান্তি বাড়াবে। তাদেরকে খরচ কমাতে হবে। এ তুলনায় ধনীরা স্বস্তিতে থাকবেন। কারণ, খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি প্রভাবিত করবে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে সামনে এগিয়ে থাকা লিজ ট্রাস বুধবার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিকে তিনি জরুরি ইস্যু হিসেবে দেখবেন। তার ভাষায়, আমি অবিলম্বে যা করবো, তা হলো- ট্যাক্স কমিয়ে দেবো। ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের বৃদ্ধিকে উল্টে দেবো। গ্রিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে শুল্ক স্থগিত রাখব। এর মাধ্যমে জনগণকে জ্বালানির বাড়তি বিল থেকে রক্ষা করা যাবে।
কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতিকে মোকাবিলার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা থাকা একমাত্র প্রার্থী তিনি। এ সময় তিনি লিজ ট্রাসের সমালোচনা করেন। বলেন, তার পরিকল্পনায় সরাসরি সাপোর্টের কথা নেই। আছে ট্যাক্স কর্তনের বিষয়। আমি মনে করি এটা ঠিক নয়। কারণ, কারো বেতন থেকে ট্যাক্স কর্তনের মানে হলো সহায়তার জন্য ১৭০০ পাউন্ড নেয়া। তিনি আরও বলেন, জাতীয় বেতনের অধীনে যারা কাজ করছেন সপ্তাহে তাদের বেতন কর্তন করা হবে এক পাউন্ড। কিন্তু পেনশনার, যারা কোনো কাজ করছেন না তাদের থেকে কোনো অর্থ কাটা হবে না। ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সহায়তায় ব্যর্থ হলে নৈতিক পরাজয় হবে।
এ বিষয়ে মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের সাবেক প্রধান নির্বাহী লর্ড রোজ বৃহস্পতিবার রেডিও ৪’কে বলেছেন, জাহাজ তীরে। এর ক্যাপ্টেন ছুটিতে গিয়েছেন। আমরা এখনও বসেই আছি এখানে। সংকটের চতুর্থ মাসে আমরা। কি ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা দেখার জন্য এখনও অপেক্ষায় আমরা। এটা হরিফাইং।
সর্বশেষ খাদ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করা হয়। এর ফলে সাপ্লাই চেইনে সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, লরি চালকের অভাব দেখা দিয়েছে।