বিশ্বজমিন
ইরানের এভিন কারাগারে ইসরাইলি হামলার নিন্দা নাজানিনের
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ দিন আগে) ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৩৮ অপরাহ্ন

বৃটিশ-ইরানি দ্বৈত নাগরিক নাজানিন জাগারি-র্যাটক্লিফ ইরানের এভিন কারাগারে পাঁচ বছর বন্দি ছিলেন। তিনি সোমবার এই কারাগারে ইসরাইলের হামলাকে ‘ক্যামেরার সামনে প্রচারণার স্টান্ট’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, এতে বন্দিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান। তিনি বৃটিশ লেবার সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা ইরানে হামলাকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি বিপজ্জনক নজির তৈরি করছে। এ বিষয়ে নাজানিন লিখেছেন, এই পরিস্থিতি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ এবং ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করছে। আমরা যারা নিজেরাই ইরানি সরকারের নিপীড়নের শিকার হয়েছি, তারাও এই মিশন নিয়ে ভীত ও অস্থির।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরান বলেছে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তার আগে নাজানিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে হামলায় যোগদানের বিষয়ে বৃটিশ মন্ত্রীদের নীরবতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তেহরানের নানা প্রান্তে পরিবারগুলো এখন বোমা আর মৃত্যু-আতঙ্কের মধ্যে আটকা পড়েছে। তারা একা, ভয়ংকরভাবে একা অনুভব করছে। তিনি লিখেছেন, কারাগারে কাটানো অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছে স্বাধীনতা আসে না বোমা ও বর্বরতা থেকে, আসে না প্রচারের অভিনয় থেকে; তা আসে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা থেকে।
উল্লেখ্য, জাগারি-র্যাটক্লিফ ২০২২ সালের মার্চে মুক্তি পান। তাকে গোয়েন্দাগিরির মিথ্যা অভিযোগে বন্দি করা হয়েছিল। অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। তার মুক্তির জন্য তার স্বামী দীর্ঘদিন প্রচারণা চালান। এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, তাকে ‘রাষ্ট্রীয় জিম্মি’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল বৃটেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে। বর্তমানে তিনি লন্ডনে স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ইরানে সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলাগুলো এতটাই যন্ত্রণাদায়ক ছিল যে, তিনি সংবাদ দেখা এবং সাক্ষাৎকার দেওয়াও বন্ধ রেখেছিলেন, যতক্ষণ না এভিন জেলে হামলা হয়। তিনি জানান, যেসব সাবেক রাজনৈতিক বন্দির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল, তারা সবাই এই হামলায় ভীত ও আতঙ্কিত।