শেষের পাতা
ক্রাইমিয়ায় ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের পেছনে রয়েছে ‘নাশকতাকারীরা’: রাশিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
ক্রাইমিয়ায় একটি ঘাঁটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এর জন্য ‘নাশকতাকারীদের’ দায়ী করেছে রাশিয়া। নির্দিষ্ট কারও নাম না বললেও এরমধ্য দিয়ে ইউক্রেনের দিকেই আঙ্গুল তুললো দেশটি। ক্রাইমিয়ার দুটি ভিন্ন রুশ ঘাঁটিতে এক সপ্তাহ ব্যবধানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। ফলে এসব বিস্ফোরণকে কেউ আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাইছেন না। প্রথম বিস্ফোরণকে দুর্ঘটনা বললেও পরেরটির জন্য নাশকতা সৃষ্টিকারীদের দায়ী করেছে মস্কো। বিবিসি’র খবরে জানানো হয়েছে, ক্রাইমিয়ার ডিজানকোই শহরের কাছে এই গুদামে বিস্ফোরণের পর নিকটবর্তী বিভিন্ন অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে, এবং প্রায় ২০০০ মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছিল, যেটিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইউক্রেনের সরকার এই দুটি হামলার কোনটিরই দায়িত্ব এখনো স্বীকার করেনি। ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার অস্ত্র গুদামে একের পর এক যেসব বিস্ফোরণ ঘটে, সেগুলোর শব্দ অনেক দূর থেকে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল। শুরুতে রুশরা বলেছিল, কোন আগুনের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু এখন তারা এজন্য ‘নাশকতাকারীদের’ দায়ী করছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রাইমিয়ার মাইস্কোয়ে গ্রামের কাছে একটি অস্থায়ী অস্ত্র গুদামে মস্কো সময় সকাল সোয়া ৬টায় এক বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সেখানে কোনো গুরুতর হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে রুশদের নিয়োগ করা আঞ্চলিক প্রধান সের্গেই আক্সিনভ ঘটনাস্থল ঘুরে জানিয়েছেন, প্রায় ২০০০ লোককে সেখান থেকে পাশের গ্রামে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মাত্র গত সপ্তাহেই ক্রাইমিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলের এক বিমান ঘাঁটিতে একের পর এক বিস্ফোরণে কয়েকটি রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়। ইউক্রেন কখনোই প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি যে, তারাই এসবের পেছনে। তবে প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ক্রাইমিয়ায় অসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া চলছে, যা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে এসব বিস্ফোরণ দুর্ঘটনাবশত ঘটেনি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় ক্রাইমিয়া। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেই গণভোটকে স্বীকৃতি দেয় না।