খেলা
গল থেকে কলম্বো জয়ের অনুপ্রেরণা
স্পোর্টস রিপোর্টার, (গল) শ্রীলঙ্কা থেকে
২২ জুন ২০২৫, রবিবার
গল টেস্ট ড্র হলেও এই ম্যাচ থেকে থেকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখান থেকে তারা দেখছেন কলম্বো জয়ের স্বপ্ন। আগামী ২৫শে জুন সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। গল থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে কলম্বো জয় করতে চান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচ ড্র করলেও অবশ্য এখান থেকে অনুপ্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। যা আমাদের কলম্বো টেস্টে কাজে দেবে। তবে কলম্বোতে আমার মনে হয় যে কন্ডিশনটা আলাদা হবে। সে (এসএসসি) মাঠে আমাদের মুশফিক ভাই ছাড়া কারো খেলার অভিজ্ঞতা নেই। দলের কম্বিনেশনটা আসলে কন্ডিশন অনুয়ায়ী হবে। সেখানে গিয়ে আমরা সব ঠিক করবো। অবশ্য এই ম্যাচটা আমাদেরকে বড় ধরনের আত্মবিশ্বাস দেবে।’ গল টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে তিনি ২৭৯ বল খেলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় ইনিংসে শান্ত ১৯৯ বলে ১২৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে শান্তর এটি দ্বিতীয়বারের মতো এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি এবং সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এই জোড়া সেঞ্চুরি বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি।
অন্যদিকে মুশফিকুর রহীমের ফর্মে ফেরাও গল টেস্টে আরেক প্রাপ্তির নাম। টি-টোয়েন্টির পর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। আকড়ে ধরে রাখা টেস্টেও সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার। ১৩ ইনিংসে ছিল না কোনো ফিফটি। ওই মুশফিক গলে প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রান করেন। এছাড়াও ৭ বছরে ১২ টেস্ট খেলা স্পিনার নাঈমের ফাইফারে প্রথম ইনিংসে লিড পায় বাংলাদেশ। নাঈমকে নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত শান্ত । তিনি বলেন, ‘দেখেন নাঈম যেভাবে খেলেছে তা সবার জন্য একটা বার্তা। সুযোগ পেলে কিভাবে তা কাজে লাগাতে হয় সেটি তিনি করে দেখিয়েছেন।’ গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি ও লিটন কুমার দাসের ৯০ রানে ভর করে বাংলাদেশ ৪৯৫ রান তোলে। ওই রান পেরিয়ে লিড নেওয়ার পথে ছিল শ্রীলঙ্কা। দলটির ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ১৮৭ রান করে আউট হন। তাকে ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত করে ও কামিন্দু মেন্ডিসকে ৮৭ রানে থামিয়ে বাংলাদেশ ১০ রানের লিড নেয়। ওই লিড পেতে বড় ভূমিকা রাখেন ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান। তিনি ৪৩.২ ওভার বোলিং করে ১২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসেও তার শিকার এক উইকেট।
অন্যদিকে লিটন দাস ও সাদমান ইসলামের ফিফটির ইনিংস দুটিও দলের জন্য অবদান রেখেছে। আবার অনেক সাফল্যের ভিড়ে ব্যর্থতা আছে। এই ড্র’র ম্যাচে কী ঘাটতি দেখছেন অধিনায়ক? শান্ত বলেন, ‘ঘাটিতি তো অনেক ছিল। যেমন পেসাররা আরো ভালো বল করতে পারতো। যদিও কন্ডিশন তাদের পক্ষে ছিল না। তাও আমরা আরো ভালো আশা করেছিলাম। বিশ্বাস করি কলম্বোতে তারা সেই সুযোগট কাজে লাগাবে।’ গল টেস্টে অনেকেই নিজেকে খুঁজে পেলেও দীর্ঘদিন পর দলে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় বন্দি আছেন ব্যর্থতার বৃত্তেই। তবুও অধিনায়ক শান্ত তার ওপর আস্থা রাখতে চান। শান্ত বলেন, ‘তিনি (বিজয়) অনেক দিন পর দলে এসেছেন। তাকে আরো সুযোগ দিতে হবে। যদি আমার ও দলের কথা বলেন তাহলে বলবো তার প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি যেমন করেন তিনি আন্তর্জাতিকেও তা করতে পারবেন বলে বিশ্বাস করি।’