খেলা
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিন যে কীর্তি জয়সওয়াল-গিলদের
স্পোর্টস ডেস্ক
২২ জুন ২০২৫, রবিবারটেস্ট ক্রিকেটে দুই অভিজ্ঞ তারকা বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার ইতি টানার পর ভারতের ক্রিকেটের নতুন যুগ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই সেসব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে সফরকারীরা। শুক্রবার অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরিতে শুবমান গিল ছুঁয়েছেন সুনীল গাভাস্কার-বিরাট কোহলিদের। তার আগে দুই হাতে ক্র্যাম্প নিয়েও সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালও। হেডিংলিতে টেস্টের প্রথম দিন চারে নেমে করা সেঞ্চুরিতে গিল ছুঁয়েছেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাস্কার, দিলীপ ভেংসরকার ও বিরাট কোহলির রেকর্ড। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি আছে এই চারজনেরও। ব্যক্তিগত ১২৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনের শেষ করেন ভারতীয় ক্রিকেটের যুবরাজ আখ্যা পাওয়া শুবমান গিল। প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৩৫৯ রানের সংগ্রহ করে সফরকারীরা। শুধু গিল নয়, দুই মহাতারকা রোহিত-কোহলিকে ছাড়া ভারতের নতুন শুরুর কাজটা কঠিন ছিল সবার জন্যই। তবে সেই কাজটা খুব সহজেই সামলে নিয়েছে গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয়রা। এর আগে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে দলের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন জয়সওয়াল। হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত ৮১ টেস্টের ইতিহাসে বিদেশি ওপেনারদের গড় স্রেফ ২৯.৬। অনুমিতভাবেই ভেন্যুটি শুরুর ব্যাটারদের জন্য মোটেই সহজ নয়। এশিয়ার ব্যাটারদের জন্য সেই চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন। কেননা শেষ ২০ ম্যাচে এখানে তাদের গড় মাত্র ২৩.৩, নেই কোনো সেঞ্চুরি। দুই হাতে ক্র্যাম্প করলেও সেই ইতিহাসটা নতুন করে লিখেছেন ২৩ বছর বয়সী জয়সওয়াল। এশিয়ান যেসব ওপেনাররা এখানে খেলে সেঞ্চুরি পাননি তাদের মধ্যে আছেন সুনীল গাভাস্কার, সাঈদ আনোয়ার, বীরেন্দ্র শেবাগের মতো সাবেকরা। তবে হেডিংলিতে প্রথম দিনের চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও বেশি। স্কাই স্পোর্টদের পরিসংখ্যানবিদ বেনেডিক্ট বারম্যানজের সূত্রমতে, ম্যাচের প্রথম ২৫ ওভারে নতুন বলে ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে হওয়া টেস্টগুলোর মধ্যে ৭৫ শতাংশ ম্যাচের চেয়ে বেশি সুইং পেয়েছেন স্বাগতিক দলের বোলাররা। তাই কঠিনভাবে মোকাবিলা করতে হয়েছে জয়সওয়ালকেও। ৯৬ রানে ফিফটি ছুঁয়ে বল পুরনো হলে গতি বাড়ান তিনি। শেষ পর্যন্ত বেন স্টোকসের বলে উইকেট ভাঙার আগে ১৫৯ বলে খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। হাতে ক্র্যাম্পের জন্য বারবার মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও ছন্দের গড়পড়তা হয়নি।
দিনের শেষে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুই হাতেই ক্র্যাম্প হয়েছিল। তবে নিজের কাজটা করেছি। নিজেকে নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করি, যাতে মাঠে নিজের সেরাটা দিতে পারি।’