খেলা
রিশাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হোবার্ট অধিনায়ক ও ফিঞ্চ
স্পোর্টস ডেস্ক
২২ জুন ২০২৫, রবিবার
অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লীগে গতবারও ড্রাফট থেকে দল পান রিশাদ হোসেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না পাওয়ায় খেলা হয়নি সেবার। এবারো ড্রাফট থেকেই তাকে দলে টেনেছে সেই হোবার্ট হারিকেন্স। গতবার না খেলা সত্ত্বেও কেন এই টাইগার ক্রিকেটারের প্রতি চাহিদা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির? সে প্রসঙ্গে রিশাদকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন হোবার্ট অধিনায়ক নাথান এলিস ও অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
এবার বিসিবি’র থেকে সবুজ সংকেত পেলে রিশাদ হবেন বিগ ব্যাশে খেলা স্রেফ দ্বিতীয় টাইগার ক্রিকেটার। এর আগে এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু সাকিব আল হাসানের। দু’টি ভিন্ন মৌসুমে এই সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খেলেছেন মেলবোর্ন রেনেগেডস ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে। রিশাদকে দলে নেয়ার কারণ হিসেবে হোবার্ট অধিনায়ক এলিসের যুক্তি, মাঝের ওভারে বেশি উইকেট চান তিনি। সে কারণেই ইংল্যান্ডের রেহান আহমেদকেও দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এলিস বলেন, ‘রিশাদ ও রেহানকে নিয়েছি, কারণ মাঝে ওভারে আমাদের উইকেট নেয়ার সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে চেয়েছি। রিশাদকে আমরা গত বছর নিয়েছিলাম, এবারো নিতে পেরেছি। ওকে দলে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ইতিমধ্যে ও সম্ভাবনাময় এক লেগ স্পিনার হিসেবে ঝলক দেখিয়েছে।’ অন্যদিকে বিগ ব্যাশের এক পডকাস্টে দলগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন অজিদের সাবেক তারকা ফিঞ্চ। সেখানে রিশাদের বোলিং নিয়ে এই সাবেক টপ অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘রিশাদ দারুণ একজন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার। আধুনিক লেগ স্পিনারদের চেয়ে সে একটু অন্যরকম। সে হাওয়ায় ভাসিয়ে বোলিং করতে পছন্দ করে, চাপে থাকলে বলের গতি কমায়।’ এই ২২ বছর বয়সী টাইগার অলরাউন্ডারকে ফিঞ্চ তুলনা করেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধির সঙ্গে, বলেন, ‘যাদের আমি বোলিং করতে দেখেছি, তাদের কারও সঙ্গে রিশাদের তুলনা করতে চাইলে আমি নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধির সঙ্গে তুলনা করবো। যদি রশিদ খানের কথা ধরি, জোরের ওপর স্টাম্পে বল করে। রিশাদ আলাদা। ও বল হাওয়ায় ভাসাবে, দারুণ গুগলি আছে, গতির ব্যবহার করে। রিশাদ দারুণ একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে। অসাধারণ একজন বোলার। রিকি পন্টিংও রিশাদের সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলেন।’
রিশাদের সঙ্গে আসন্ন আসরের জন্য নিবন্ধন করেন আরও ১০ টাইগার ক্রিকেটার। তারা হলেন- মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী, তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাওহীদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমান এবং সৌম্য সরকার। তাদের মাঝে দল পেয়েছেন শুধু রিশাদই।