খেলা
ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের জয়জয়কার
চেলসিকে হারিয়ে ইতিহাস ফ্ল্যামেঙ্গোর
স্পোর্টস ডেস্ক
২২ জুন ২০২৫, রবিবার
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর জয়রথ ছুটছেই। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) বিপক্ষে বোতাফোগোর জয়ের রেশ কাটার আগেই চেলসি বিধ্বস্ত হলো আরেক সেলেসাও ক্লাবের বিপক্ষে। শুক্রবার ফিলাডেলফিয়া পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যামেঙ্গো জিতেছে ৩-১ গোলে। ৩৩ বছরের মধ্যে প্রথমবার ইউরোপিয়ান কোনো দলের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনে জয় পেলো দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল। লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে সাবেক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খাতা-কলমেও ছড়ি ঘোরায় ফ্ল্যামেঙ্গোই। পুরো ম্যাচে ৫২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখা ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি ১৩টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখে ৯টিই। ১১টির মধ্যে ৪টি শট লক্ষ্যে থাকে ব্লুদের। ৫৪ হাজার দর্শকের সামনে ত্রয়োদশ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ফ্ল্যামেঙ্গো। প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন চেলসির পেদ্রো নেতো। বিরতির আগে থেকেই চেলসিকে চেপে ধরতে শুরু করে ফ্ল্যামেঙ্গো। এর ফলস্বরূপ ৬২তম মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করে বদলি হিসেবে নামা ব্রুনো হেনরিকে। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই মিনিট তিনেকের মধ্যে লিড এনে দেন দানিলো। কর্নার থেকে হেডে এই সেলেসাও সেন্টারনব্যাকের দিকে বল পাঠান হেনরিখ। দুর্দান্ত এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবের সাবেক এই ডিফেন্ডার। লিড হারিয়ে ফের বড় ধাক্কা খায় ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা। বদলি হিসেবে নামার মিনিট চারেকের মধ্যে সরাসরি লাল কার্ড দেখে উঠে যান নিকোলাস জ্যাকসন। ১০ জন নিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি চেলসি। ৮৩তম মিনিটে উল্টো আরেক গোল হজম করে বসে এঞ্জো মারেস্কার ছেলেরা। দলের শেষ গোলটি করেন ফ্ল্যামেঙ্গো ফরোয়ার্ড ওয়ালাসে ইয়ান। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলেই ঐতিহাসিক জয় দিয়ে ম্যাচ শেষ করে ফ্ল্যামেঙ্গো। কোনো ইউরোপিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে শেষবার পিছিয়ে পড়েও দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব হিসেবে জয়ের কীর্তি সাও পাওলোর, ১৯৯২তে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে সেবার শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ম্যাচের পর ফ্ল্যামেঙ্গো বস ফিলিপে লুইস বলেন, ‘এটি আমার ও ক্লাবের জন্য বিশেষ একটি দিন। খেলাটি নিয়ে আমি খুব খুশি। আমরা ম্যাচের শুরু থেকেই বিশ্বাস করছিলাম যে আমাদের সুযোগ আছে। আমি খুবই গর্বিত, কারণ ওয়েসলির ভুলের পরও দল থেমে যায়নি। আগের মতোই খেলা চালিয়ে গেছে। আমার খুবই ভালো লাগছে।’ একইসঙ্গে ২৫ বছরের মধ্যে উয়েফার কোনো ক্লাবকে ইউরোপের বাইরের কোনো দল দুই বা ততধিক গোলের ব্যবধানে হারানোর স্বাদ পেলো। এর আগে সবশেষ ২০০০-এর জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারায় আরেক সেলেসাও ক্লাব ভাস্কো দা গামা।