নবীগঞ্জে জনতার হাতে দুই ভুয়া সিআইডি আটক

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ভূবিরবাক গ্রামে জনতার হাতে আটক হয়েছে ভুয়া দুই সিআইডি। গতকাল দুপুরে শিক্ষক নেতা পলাশ দাসকে সিআইডি পরিচয়ে হুমকির প্রাক্কালে মুহিবুর রহমান পান্না ও আমির হোসেন নামের দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুর্শি ইউনিয়নের ভুবিরবাক গ্রামের রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ রতন দাসের বাড়িতে মোটরসাইকেল নিয়ে দুই ব্যক্তি এসে নিজেদের সিআইডি’র সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় পলাশকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। তাদের আচরণবিধি সন্দেহজনক হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের আটক করে। শিক্ষক নেতা পলাশ দাস বলেন, দুই প্রতারক প্রথমে এসে জয়ন্ত সরকার নামে একজনকে চেনেন কিনা জানতে চায়। এরপর বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এ সময় নিজেকে পরিচয় দিই যে, আমি একজন শিক্ষক। তখন তারা বলেন, আপনি আওয়ামী লীগ করেন, তাই আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে হবে। আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং তাদের ঘিরে ধরে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়। এ সময় দুই প্রতারক নিজেদের ভিন্ন পরিচয় দেয়। একপর্যায়ে একজন কখনো পরিচয় দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার বণিকপাড়ার মৃত লুৎফুর রহমানের পুত্র  মহিবুর রহমান পান্না। আবার বলে, সে আগে হিন্দু ছিল নাম ছিল নরোত্তম, বাবার নাম হেমন্ত। অন্যজন নিজেকে সুনামগঞ্জ জেলার পার্বত্যপুর গ্রামের মনাফ মিয়ার পুত্র আমির হোসেন বলে পরিচয় দেয়। নিজেদের সিআইডি পরিচয় দিলেও কোনো আইডি দেখাতে পারেনি। এ সময় তাদের নিকট থেকে ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, দু’টি মানিব্যাগ, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও দু’টি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, সিআইডি পরিচয়ে অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করা  হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।