বরিশাল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে

বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার  রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী খালপাড় সড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। থানা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় সিঅ্যান্ডবি রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করে হত্যাচেষ্টা, বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান জসিম উদ্দিন। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর বুধবার স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন জসিম উদ্দিন। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বেশ পরিচিত। হিরনের মৃত্যুর পর বরিশাল সদর (৫) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী হয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন তিনি।

এ ছাড়া সর্বশেষ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন জসিম উদ্দিন।
বরিশালে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারস্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে: বরিশালের উজিরপুরে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৌরসভার ভিআইপি সড়কের বাসা থেকে গতকাল তিন সন্তানের জননী আলেয়া বেগমের লাশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকালে মরদেহে কোনো পোশাক ছিল না, পুলিশ রহস্যজনক প্রাণ বিয়োগের ঘটনাটিকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আলেয়ার ছেলে রাজধানী ঢাকায় চাকরি করেন এবং দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। নুরে আলমের স্ত্রী আলেয়া একাই উজিরপুর  ভিআইপি সড়কের বাসায় বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়রা আশপাশ দিয়ে চলাচলের প্রাক্কালে দুর্গন্ধ পায়। তখন কৌতুহলবশত উঁকি দিয়ে বাসার অভ্যন্তরে মেঝেতে বৃদ্ধার নিথর দেহ পরে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দিয়ে পুলিশ গিয়ে বস্ত্রহীন লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, পুলিশ লাশটি উদ্ধারকালে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া ও মুখ গামছায় আবদ্ধ ছিল। তখন পরনে কোনো পোশাক ছিল না।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এবং এই ঘটনাটি অন্তত ২/১ দিন আগে হয়, যার কারণে মরদেহে পচন ধরেছে।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য হেতু কী এবং এতে কারা জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হতে না পারলেও উজিরপুর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলছেন, ‘ঘটনার জোরালো তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’