বিশ্বজমিন
ইরান-ইসরাইল সংঘাতের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে গাজার গণহত্যা
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ ঘন্টা আগে) ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:৪৮ অপরাহ্ন

বিশ্ববাসীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইরান-ইসরাইল সংঘাত। যাতে চাপা পড়ে যাচ্ছে গাজায় ইসরাইল চলমান গণহত্যার খবর। এদিকে গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, তেল আবিবের হামলায় একদিনে নিহত হয়েছেন ১৪০ ফিলিস্তিনি। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ২১ জন, খান ইউনিসে একটি তাঁবুতে পাঁচ জনকে হত্যা করেছে দখলদারা। এছাড়া সাহাবুদ্দিন সড়কে ত্রাণের জন্য অপেক্ষারতদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে আরও ১৪ ফিলিস্তিনিকে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তরফে বলা হয়েছে, ত্রাণের জন্য অপেক্ষারতদের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা। অন্য হামলার বিষয়ে বলা হয়েছে, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য ওই হামলা চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মে থেকে এ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৩৯৭ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ হাজার। মে মাসে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। আদেল নামে গাজা শহরের এক বাসিন্দা বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববাসীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ইরান-ইসরাইল সংঘাত। এই কয়েকদিন গাজা নিয়ে তেমন কোনো সংবাদ দেখা যায়নি। বলেছেন, গাজার মানুষের ইসরাইলি হামলা থেকে বাঁচলেও ক্ষুধা থেকে বাঁচার উপায় নেই। মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্যের জন্য ছুঁটছেন। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা জিএইএচএফের তরফে বলা হয়েছে, গাজার কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষের কাছে তারা ত্রাণ পৌঁছে দেবে। তবে তা যেন হামাসের হাতে না যায় সে বিষয়টিও নজরদারি করবে সংস্থাটি। এর আগে হামাসের বিরুদ্ধে ত্রাণ উপকরণ আটকে রাখার অভিযোগ করেছে ইসরাইল। যদিও হামাস এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল। এছাড়া ২৫০ জনকে জিম্মি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার প্রায় সব মানুষ। এছাড়া উপত্যকাটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হলেও তা অস্বীকার করেছে দখলদাররা।