বিশ্বজমিন
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু বিমান ও নৌযান সরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
নাটাশা বার্ট্রান্ড ও জাকারি কোহেন, সিএনএন
(৪ ঘন্টা আগে) ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:৩১ অপরাহ্ন
.jpg)
ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বিভিন্ন স্থাপনা ও সম্পদ সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে কাতারে অবস্থিত বিশাল আল উদেইদ ঘাঁটি থেকে খোলা আকাশে রাখা সব মার্কিন যুদ্ধবিমান সরিয়ে নেওয়া এবং বাহরাইনে মোতায়েন মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলো স্থানান্তর। দুটি প্রতিরক্ষা সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত রক্তের মজুদও পূর্ব থেকে সরবরাহ করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন সূত্রটি— যা যেকোনো সম্ভাব্য হামলার আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিয়মিত পদ্ধতি।
একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ইরান যেহেতু হুমকি দিয়েছে— যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি ও সেনাদের ওপর পাল্টা আঘাত হানবে। এই পরিস্থিতিতে এসব পদক্ষেপ ‘বিচক্ষণ ও পূর্বপ্রস্তুতিমূলক’ পরিকল্পনা।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটি থেকে এই সপ্তাহের শুরুতে সব খোলা আকাশে রাখা বিমান সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এক কর্মকর্তা তা নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি বাহরাইনে নেভাল সাপোর্ট অ্যাকটিভিটি ঘাঁটিতে অবস্থানরত সব মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজও এই সপ্তাহের শুরুতে ঘাঁটি ত্যাগ করেছে। তবে উত্তেজনার এই মুহূর্তে সেগুলো কোথায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত নয়।
স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে—সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এখনো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিলে তেহরান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার হুমকি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরানের রয়েছে অসংখ্য প্রক্সি গোষ্ঠী—যারা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। যেমন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইরান-সমর্থিত এক শিয়া মিলিশিয়া সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের টাওয়ার ২২ নামক মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ৩ মার্কিন সেনাকে হত্যা ও ডজনখানেককে আহত করেছিল।