বিশ্বজমিন
ইরানের আশা প্রতিবেশীরা হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না, এটা চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
.jpeg)
ইরান বিশ্বাস করে আরব প্রতিবেশীরা তাদের ভূখণ্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা চালাতে দেবে না। এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাঘাঈর।
চলমান সংঘাত ও যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধে জড়ায়, তবে ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোতে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাবে কিনা— এ প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
বাঘাঈ বলেন, ইরান একটি গণহত্যাকারী শাসনের দ্বারা আক্রান্ত। ইসরাইলের ‘আগ্রাসন যুদ্ধ’তারা ‘পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে প্রতিরোধ করবে। তিনি বলেন, ইরান এই মুহূর্তে কেবল ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে। তারা আশাবাদী, তাদের আরব প্রতিবেশীরা যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের মাটি ব্যবহার করে ইরানে হামলা চালাতে দেবে না। বাঘাঈ বলেন, ইসরাইল থেকে আসা হামলার বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে আমরা নিজেদের প্রতিরক্ষা করছি। সে কারণে আমরা খুবই সতর্ক, দায়িত্বশীল ও হিসেব করে পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা কেবল দখলকৃত ভূমির সামরিক ঘাঁটি ও নিরাপত্তা ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করেছি। আপাতত আমরা সেখানেই মনোনিবেশ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আরব দেশগুলোর সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা পুরোপুরি সচেতন যে ইসরাইল অন্যদের এই যুদ্ধে টেনে আনতে চায়। আমরা নিশ্চিত, যেসব আরব দেশ মার্কিন ঘাঁটি মজুত করেছে, তারা তাদের মাটি মুসলিম প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দেবে না। আন্তর্জাতিক আইনের কথা তুলে ধরে বাঘাঈ বলেন, কোনো দেশকে বৈধভাবে অনুমতি দেওয়া যায় না যাতে তারা তৃতীয় পক্ষকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তিনি যোগ করেন, আমাদের ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যে বোঝাপড়া রয়েছে, তাতে আমি নিশ্চিত, তারা তাদের ভূখণ্ডকে কোনো তৃতীয় পক্ষের দ্বারা অপব্যবহার হতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলার মাঝপথে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার আমাদের মাসকাটে থাকার কথা ছিল। অথচ তারা আগ্রাসন শুরু করে শুক্রবার ভোরেই । ইরান সম্পূর্ণভাবে কূটনীতি ও সংলাপের পক্ষে ছিল। ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সত্যিকার অর্থে’ বিশ্বাস করে না। কারণ ‘আমাদের অঞ্চলে শুধু ইরান নয়, কেউই কল্পনাও করতে পারে না যে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব অনুমতি ছাড়া ইসরাইল এই যুদ্ধ শুরু করতে পারে।
বাঘাঈ বলেন, তাই আমি মনে করি, এখানে ঝুঁকিতে রয়েছে একটি দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা— যে দেশ নিজেকে বৈশ্বিক ক্ষমতা হিসেবে দাবি করে। ঝুঁকিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক আইন, সেই আন্তর্জাতিক আইন— যা গত দুই বছরে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে দখল হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া এবং অন্য স্থানে সংঘটিত সব নৃশংসতার কারণে। তাই আমি মনে করি, পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য, তাদের উচিত এখন দায়িত্ব গ্রহণ করা এবং এই আগ্রাসন বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া।
পাঠকের মতামত
মুসলমানদের ঐক্য গড়ে উঠুক এই প্রার্থনা করি।