টি-টোয়েন্টিতেও ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করলো ইংল্যান্ড

 সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্বে আসার পর হ্যারি ব্রুকের শুরুটা এর চেয়ে ভালো আর কী-ইবা হতে পারতো! সাউদাম্পটনে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ২৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মঙ্গলবার ৮ উইকেটে ২১১ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ৩৭ রানের জয়ে প্রায় চার বছর পর সীমিত ওভারের সংস্করণে কোনো দলকে ৩-০তে হারাল ইংলিশরা। এর আগে ওয়ানডে সিরিজেও ৩-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
দুই সিরিজ মিলিয়ে ৬-০ ব্যবধানে ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে নেতৃত্বের দুর্দান্ত যাত্রা শুরু করলেন ব্রুক। টসে জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ বলে ১২০ রানের সূচনা এনে দেন বেন ডাকেট ও জেমি স্মিথ। ২৬ বলে ব্যক্তিগত ৬০ রানে গুডাকেশ মোটির বলে হেটমায়ারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্মিথ। ডাকেটকে সঙ্গ দিতে আসা জস বাটলার আউট হন ২২ রান যোগ করে। ৪৬ বলে ব্যক্তিগত ৮৪ রানে ডাকেট যখন আউট হন, তখন দলের খাতায় রান ৩ উইকেটে ২৪৮। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১০ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন ৩০ বছর বয়সী এই ওপেনার। চতুর্থ উকেটের জুটিতে বিধংসী ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৭০ রান যোগ করেন জ্যাকব বেথেল ও অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। যথাক্রমে ১৬ বলে ৩৬ ও ২২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন দুজন। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ হিসেবে স্বাগতিকদের পুঁজি দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৪৮ রান। ২০২৩-এ একই দলের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৬৭ রান করে ইংল্যান্ড।
বড় লক্ষ্যের রান তাড়ায় খেলতে নেমে হতাশ করেন সফরকারীদের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও জনসন চার্লস। দুজনই সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৯ রানে। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হন শিমরন হেটমায়ার। তিনে নামা অধিনায়ক হোপ ২৭ বলে ব্যক্তিগত ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। শেরফেন রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড ফেরেন ব্যক্তিগত ১ ও ০ রানে। একাই লড়াই চালিয়ে যান রভম্যান পাওয়েল। জেসন হোল্ডারের সঙ্গে ২৬ বলে ৫২ ও নবম উইকেটে আকিল হোসেনের সঙ্গে ১৬ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ব্যক্তিগত ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
ইংলিশদের বিপক্ষে দুই সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর আগামীকাল আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ক্যারিবিয়ানরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ১৪ ও ১৫ই জুন।