অনলাইন
‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছে না কেন্দ্র, অথচ দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ২০৪৭ সালের'
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১২ অপরাহ্ন

'নরেন্দ্র মোদি সরকার বর্তমান নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। পরিবর্তে দেশবাসীর কাছে ২০৪৭ সালের স্বপ্ন বিক্রি করছে। 'এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের। শুধু তাই নয়, হাত শিবিরের দাবি, সংবিধানের প্রতিটি পৃষ্ঠায় একনায়কতন্ত্রের কালি লেপে দিয়েছে মোদি সরকার। মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে, কংগ্রেস এম রাজীব গৌড়ার নেতৃত্বে দুটি পুস্তিকাও প্রকাশ করেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এখন 'ফেক ইন ইন্ডিয়া' এবং 'স্টার্টআপ ইন্ডিয়া' হয়ে গেছে ‘শাটডাউন ইন্ডিয়া’। অভিযোগ, সরকার এমন দিকে এগোচ্ছে যার কাছে কোনও তথ্য উপলব্ধ নেই।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘মোদি সরকারের ১১ বছরের অর্থ হল "কোনও জবাবদিহিতা নেই, কোনও পরিবর্তন নেই, কেবল প্রচারণা। সরকার ২০২৫ সালের কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ২০৪৭ সালের স্বপ্ন বিক্রি করছে। আজ দেশ কিসের মুখোমুখি হচ্ছে তা কে দেখবে?’। 'এক্স'-এ একটি পোস্টে তিনি বলেন, সরকার যখন ১১ বছরের উদযাপন করছে, তখন মুম্বাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার মর্মান্তিক খবরে দেশের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেছেন যে বিজেপি-আরএসএস প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করেছে এবং রাজ্যগুলোর অধিকারকে খর্ব করে ফেডারেল কাঠামোকে দুর্বল করে দিয়েছে। সমাজে ঘৃণা, হুমকি এবং ভয় ছড়িয়ে দেওয়ার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চলছে।
তিনি এক্সে- লিখেছেন, গত ১১ বছরে, মোদি সরকার ভারতীয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি করেছে... গত ১১ বছরে, মোদি সরকার সংবিধানের প্রতিটি পৃষ্ঠায় একনায়কতন্ত্রের কালি ঘষে সময় ব্যয় করেছে। মণিপুরে অন্তহীন সহিংসতাকে বিজেপির প্রশাসনিক ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বলে অভিহিত করে খাড়গে অভিযোগ করেন যে জনমত চুরি করা এবং পিছনের দরজা দিয়ে সরকারকে উৎখাত করা বা জোরপূর্বক জনতার ওপর একদলীয় স্বৈরশাসন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দলিত, উপজাতি, অনগ্রসর, সংখ্যালঘু এবং দুর্বল শ্রেণীর উপর শোষণ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের সংরক্ষণ এবং সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। অর্থনীতি সম্পর্কে খাড়গে আরও দাবি করেন যে, বিজেপি-আরএসএস দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হারকে ৫-৬ শতাংশে অভ্যস্ত করে তুলেছে যা ইউপিএ শাসনামলে গড়ে ৮ শতাংশ ছিল।
সূত্র : ডেকান হেরাল্ড
পাঠকের মতামত
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তার দল বিজেপি পাশ্ববর্তী দেশ গুলো নিয়ে শুধু মাথা গামাচ্ছে, তার দেশের উন্নয়ন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ভারতের মনিপুর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। মোদীর মাথা বৃথার কারণ হলো মধ্যে এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান থেকে মায়ানমার তথা বার্মা পর্যন্ত কোন দেশে কি ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করবে তার গোয়েন্দা সংস্থা 'র' দ্বারা সে চেষ্টা করা। আফগানিস্তান থেকে বার্মা পর্যন্ত প্রত্যেক দেশেই "র" এর এজেন্টদের দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছে, ভাব খানা এরকম আমি নিজে ও শান্তি তে থাকবো না প্রতিবেশী কাউকে শান্তি তে থাকতে দিব না।