বিশ্বজমিন
লস অ্যানজেলেসের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে, আরও ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন, আদালতে গভর্নর নিউসম
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:১৭ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বিরোধী অভিযান, বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যানজেলেস এলাকায় আরও ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। শন পারনেল বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেডারেল সেবায় যুক্ত করছে, যাতে তারা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর সহায়তায় নিরাপদে দায়িত্ব পালন করতে পারে। এই মোতায়েনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। তার অভিযোগ, এই সেনা মোতায়েন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ। এরই মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। লস অ্যানজেলেসে আইসিইর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই শহরের ডাউনটাউনে বিক্ষোভ দানা বাধে। এই বিক্ষোভকে ‘অবৈধ সমাবেশ’ ঘোষণা করে পুলিশ কড়া অবস্থান নিয়েছে। সাংবাদিকদেরও বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকটি এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, টেক্সাসের অস্টিন ও ডালাস শহরেও লস অ্যানজেলেসের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অস্টিনে ১০০-এর বেশি বিক্ষোভকারী আইসিই অফিস ঘেরাও করে ‘নো মোর আইসিই’ স্লোগান দিতে থাকেন। কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ডালাসে মার্গারেট হান্ট হিল ব্রিজ এলাকায় প্রায় ৪০০ বিক্ষোভকারী শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন। লস অ্যানজেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস জানান, শুধু আজই শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত পাঁচটি ইমিগ্রেশন অভিযান হয়েছে। এর মধ্যে একটি তার নাতির স্কুলের কাছাকাছি। ৩০ মাইল দূরের সান্তা আনা শহরের পুলিশ বিভাগও নিশ্চিত করেছে যে আইসিই ‘এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন’ চালাচ্ছে। এমন অবস্থায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক্সেপোস্ট করে জানিয়েছেন, এই প্রশাসন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার কাছে মাথানত করবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পিছু হটবেন না।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই অবস্থান অভিবাসন নীতিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি দেখা দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। অন্যদিকে প্রশাসনের যুক্তি, আইনশৃঙ্খলা ও সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখতেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।