খেলা
বাংলাদেশের ফুটবলে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আর্জেন্টিনা
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৪ মে ২০২৫, শনিবার
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উল্লাস ছড়িয়ে যায় বিশ্ব জুড়ে। বাংলাদেশি ভক্তদের এ ভালোবাসা হাজার হাজার মাইল দূরের দেশের আকাশী নীল জার্সির প্রতি। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় দেশটির দূতাবাস চালুর আগ্রহের কথা জানায় আর্জেন্টিনা। তার বাস্তব রূপ মেলে ২০২৩ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি, লাল সবুজের দেশে নীল-সাদা রঙের পতাকা উড়িয়ে ৪৫ বছর পর ফের শুরু হয় তাদের পথচলা। সেটার কথা মনে করেই ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত এইচ ই মার্শেলো কার্লোস সিসা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফুটবলের মাধ্যমে যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে, তা অত্যন্ত শক্তিশালী। এই সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতা দিতে তার দেশ প্রস্তুত বলে আশ্বাস দেন।
গতকাল সকালে যশোরের শামস উল হুদা ফুটবল একাডেমিতে আয়োজিত এএফসি গ্রাসরুট ফুটবল ডে ও ওয়ার্ল্ড ফুটবল উইক উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) উদ্যোগে আয়োজিত এই ফুটবল উৎসবে খুলনা বিভাগের ১৫টি ফুটবল একাডেমি থেকে প্রায় ৬০০ খুদে ফুটবলার দিনব্যাপী অংশ নেয়। রাষ্ট্রদূত সিসা এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন এবং একই সঙ্গে ভাষাসৈনিক মুছা মিয়া ভবনেরও উদ্বোধন করেন। আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত এইচ ই মার্শেলো কার্লোস সিসা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা প্রদান করা। আমরা চাই, বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলাররা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুক এবং একদিন বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করুক। আমাদের দেশ বাংলাদেশের কোচ এবং খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিতে প্রস্তুত। একইভাবে আমরা আশা করি, আমাদের প্রশিক্ষকরাও বাংলাদেশের একা কাডেমিগুলোতে এসে এখানকার তরুণ প্রতিভাগুলোকে সহায়তা করতে পারবে। যশোরের শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমি দেশের সকল একাডেমির জন্য আদর্শ।
এই একাডেমির রূপকার বাফুফের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। তার অর্থায়ন ও পরিকল্পনায় যশোরে গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যে আধুনিক একাডেমি গড়ে তুলেছে। গতকাল এএফসির গ্রাসরুটে আরও অনেক একাডেমি শামসুল হুদা একাডেমিতে আসায় তিনি ধন্যবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘ফিফা ও এএফসির এই অনুষ্ঠানে অনেক একাডেমি থেকে সব মিলিয়ে ছয়শতাধিক বাচ্চা আমাদের একাডেমিতে আসায় আমরা অনুপ্রাণিত। বেসরকারি উদ্যোগে এ রকম একাডেমির মাধ্যমে আমাদের ফুটবল এগিয়ে যাবে। বাফুফে সভাপতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একাডেমিগুলোকে সহায়তা করার ঘোষণাও দিয়েছেন।’ বাফুফের তালিকাভুক্ত একাডেমির সংখ্যা ২২২টি। এর মধ্যে টু স্টার প্রাপ্ত ১৭টি বাকি সব ওয়ান স্টার। বাফুফে বিগত সময়ে এএফসি গ্রাসরুট ডে ঢাকাতেই করেছে। এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে বড় আকারে আয়োজিত হলো।