প্রকাশ্যে বিএনপিকর্মীকে কোপানোর ঘটনায় মামলা

রাজধানীর ধানমণ্ডি সেন্ট্রাল রোডের ভুতের গলিতে বিএনপি’র এক কর্মীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আহত ওই যুবকের নাম সাইফ হোসেন মুন্না। রোববার রাতে ঘটনাটি ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুন্না ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত মুন্নার ছোট বোন জামিলা কবির লাবনী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ করেছেন তিনি। মামলার আসামিরা হলেন- এমসি শুভ (৩৫), মামুন (৩২), রান্না (৩৩), শামীম (৩১) ও মোবারক (৩৩)। মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কের ওপর সাইফ হোসেন মুন্নার গতিরোধ করে এক ব্যক্তি। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে আসে আরও দুজন। আরেকটি মোটরসাইকেলে সেখানে আসে আরেকজন। এ সময় মুন্নাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় একজন। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজন এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু করেন। এই ব্যক্তি কালো পাঞ্জাবি ও হেলমেট পরা ছিলেন। মুন্না নিজের প্রাণ বাঁচাতে চেষ্টা করলে অন্যরা তাকে ধরে মারধর করেন। পরে পরিবার ও স্থানীয়দের সহায়তায় মুন্নাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে মুন্নাকে গতিরোধ করে মামুন। পরে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে আসে এমসি শুভ ও রানা। অরেক মোটরসাইকেলে সেখানে হাজির হয় মোবারক। প্রথমে মামুন বিএনপিকর্মী মুন্নাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুভ বেধড়ক কোপানো শুরু করে। এ সময় সে কালো পাঞ্জাবি ও হেলমেট পড়া ছিল। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেয়ার চেষ্টা করলে মুন্নাকে অন্য সন্ত্রাসীরা মারধর করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুন্নার হাত ও পায়ে ব্যাপক জখম হয়েছে। তার শরীরে অজস্র কোপের দাগ রয়েছে। দুর্বৃত্তরা মুন্নাকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুন্না। তিনি নিউমার্কেট থানার ১০নং সেন্ট্রাল রোড পানির পাম্পের গলির মৃত জমির হোসেনের সন্তান। তাদের বাসা ভুতের গলির শেষ মাথায় চিলড্রেন হোম স্কুলের পাশে। নিউমার্কেট থানার ওসি একে এম মাহফুজুল হক বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলা হয়েছে। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মুন্নার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল রোডের সুমাইয়া হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর। তিনি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।