বিশ্বজমিন
বৃটেনে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে অর্থ আদায়, তিন প্রতারক কারাগারে
মানবজমিন ডেস্ক
(৯ ঘন্টা আগে) ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৭:১৪ অপরাহ্ন

পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৪৬ হাজার পাউন্ডের বেশি অর্থ। এমন ঘটনা ঘটেছে বৃটেনের কাম্ব্রিয়া এলাকায়। এর সঙ্গে জড়িত তিন প্রতারককে কারাদণ্ড দিয়েছে কার্লাইল ক্রাউনের আদালত। তাদের বিরুদ্ধে চুরির প্রচেষ্টা প্রমাণিত হওয়ার পর সাজা দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতারকরা হলেন- বিলাল আখতার (৪০), লুলিয়ানা নিকোল (২৪) এবং মোহাম্মদ শাহজেব (২০)। এদের মধ্যে আখতারকে তিন বছর, নিকোলকে সাত মাস এবং শাহজেবকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। শাহজেবের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।
ভুয়া পুলিশ পরিচয় দেয়া এই চক্রটি সেপ্টেম্বর মাসে কাম্ব্রিয়ার একাধিক বাড়িতে ল্যান্ডলাইনের মাধ্যমে ফোন করে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেন। ব্যাংক কার্ডে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ওই চক্র। দাবি অনুযায়ী বিশ্বস্ততা অর্জনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেও পরিচয় যাচাই করার কথা বলতেন তারা। এক্ষেত্রে কৌশলে ফোন লাইন খোলা রেখে প্রতারকদের সহযোগীরা পুলিশ সেজে অভিনয় করতেন। পরে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বড় অঙ্কের নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়া হতো। আর এসব অর্থ কুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রহণ করতেন ওই চক্র। এক পর্যায়ে একজন ভুক্তভোগীকে তার লাইসেন্সসহ আগ্নেয়াস্ত্রও হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হয়।
কাম্ব্রিয়া পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিটের গোয়েন্দা পরিদর্শক জেমি ইটন বলেন, প্রতারকদের মূল চাবিকাঠি ছিল তাদের বিশ্বাসযোগ্য ভঙ্গি। মানুষকে মনে রাখতে হবে-প্রকৃত পুলিশ কখনোই হঠাৎ করে ফোন করে অর্থ বা তথ্য চায় না।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও চারজন সম্ভাব্য ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে, তবে তাদের কেউই অর্থ দেয়নি। পুলিশি তৎপরতায় একজনের ক্ষেত্রে প্রতারণা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আখতার ও নিকোলেকে একটি ভুক্তভোগীর বাসা থেকে ফেরার পথে গাড়ি থামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ডার্বিশায়ার থেকে গ্রেপ্তার হন শাহজেব। পুলিশ সাধারণ জনগণকে এ ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে এবং সন্দেহজনক ফোন পেলে অন্য ফোন ব্যবহার করে পুলিশে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে।