রাজনীতি
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধা কোথায়, প্রশ্ন নজরুলের
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৩:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ পূর্বাহ্ন

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে বাধাটা কোথায় বলে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘শোষনমুক্ত সমাজ গঠনে মাওলানা আবদুল মতীনের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঐক্যমত্য কমিশনের যিনি দায়িত্বে আছেন, অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাহেব তিনি বলেছেন যে, মে মাসের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাক্রমে তারা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন, যেখানে বোঝা যাবে যে- কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে সবগুলো রাজনৈতিক দল একমত, কোন কোন সংস্কারের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত আছে, এটা আমরা বুঝে ফেলতে পারব। মে মাসের মধ্যে বুঝে ফেলতে পারলে, জুন মাসের মধ্যে এই কাজটা কি সম্ভব না, যেসব প্রস্তাব সবাই আমরা একমত সেটা একত্র করে একটা সনদ তৈরি করে সবাই সেখানে স্বাক্ষর করলাম এবং সবাই একমত হলাম যে, সংস্কারগুলো অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
তিনি বলেন, আইনের মাধ্যমে অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেটা করা যাবে, সেটা এখনই হবে। যেটা সংবিধানে পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে, সেটা আগামী নির্বাচিত সংসদে হবে। সবাই একমত হয়ে দস্তখত করে দিলাম আমরা এবং সেই অনুযায়ী আগামী দিনে কাজ চলবে। এই কাজটা যদি জুন মাসের মধ্যেই সম্ভব হয়, এমনকি যদি জুলাই মাসের মধ্যে সম্ভব হয় তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধাটা কোথায়?
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কারো গোছানোর সময় দরকার? কারো বন্ধু জোগাড়ের জন্য কিছু সময় দরকার? সেজন্য জনগণের ভোট দেয়ার যে মৌলিক মানবাধিকার, এটা বিলম্বিত হবে। এটা তো হতে পারে না। আমরা মনে করি, আমরা যে দাবি করেছি (ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন) এটা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং এর বিরুদ্ধে যৌক্তিক কোনো প্রস্তাব বা কোনো বক্তব্য কেউ হাজির করতে পারি নাই। সেজন্য আবার বলছি, এদেশের নানা ধরণের সমস্যা থাকে, সেটা এড্রেস করার জন্য, সেটা মোকাবিলা করার জন্য- সেটা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক শক্তির কোনো বিকল্প নাই, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নাই। এটা যত দ্রুত আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুঝবে তত ভালো।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, লেবার পার্টি বলেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনটা হোক। আমি বলতে চাই, যারা এটা বিরোধিতা করছেন তারা শুধু বলুন যে, কোন যুক্তিতে ডিসেম্বরের পরে করতে হবে নির্বাচন। কারণটা কি? নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জুন মাসের মধ্যে তারা জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে, এই জুন মাসের মধ্যে। তাহলে নির্বাচন কমিশনের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা নাই।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী মো. আবুল খায়ের প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত
Without regular elections, the government may lack accountability, leading to autocratic tendencies. While discussions on development are crucial, they should not replace the need for democratic processes. An elected government with a robust system of checks and balances helps prevent abuses of power and ensures representation. Indeed, free and fair elections are essential for a functioning democracy, as they provide legitimacy and accountability to the government.
বাধাটা হচ্ছে দেশের জনগণ। জনগণ আরো ৪/৫ বছর নিরাপদে থাকতে চায়। ড. ইউনূস কমপক্ষে পাঁচ বছর থাকনা।
নির্বাচনে বাধা নেই কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের আমজনতা আরও ২/৩ বছর নিরাপদে থাকতে চায়।
কোনো বাঁধা নেই, ছোট্ট একটা কাজ বাকি আর তা হলো খুনি হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ এর বিচার করা। ইলেকশন ডিসেম্বর এই হবে কিন্ত সেটা ২০২৭ সালে।
নির্বাচনটা জুনের মধ্যে হলে সমস্যা কোথায় ?
বাধা দেশের জনগণ, জনগণ চায় ড. ইউনূস কমপক্ষে ১০ বছর থাক।