বিশ্বজমিন
ভারত-পাকিস্তানকে এক টেবিলে বসতে উৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
(১০ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫৮ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানকে তাদের বিরোধ মেটানোর জন্য একসঙ্গে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন আবারও। এর কয়েক ঘন্টা পরই তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টমি পিগট বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী এই দুই প্রতিবেশীকে সরাসরি যোগাযোগ উৎসাহী করছে ওয়াশিংটন। তবে এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার। তা হলো, মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়ে দিয়েছেন- পাকিস্তান যে কাশ্মীরকে ‘অবৈধভাবে দখল’ করে রেখেছে, তা অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। এ সমস্যা নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতায় তারা আলোচনার টেবিলে বসবে না।
অনলাইন ডন বলছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানকে পারস্পরিক বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে ‘একসাথে নৈশভোজে যাওয়ার’ পরামর্শ দিয়েছেন। রিয়াদে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এক বক্তব্যে তিনি দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে সপ্তাহান্তে হওয়া যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ট্রাম্প বলেন, আমি বললাম, ভাইয়েরা, চল একটা চুক্তি করি। যুদ্ধ নয়, তোমরা যা চমৎকার জিনিস বানাও, সেগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করো। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়।
মজার ছলে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, হয়তো আমরা ওদের একসাথে ডিনারে পাঠাতে পারি। এদিকে, ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টমি পিগট প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগকে উৎসাহিত করছি এবং আমরা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দুই প্রধানমন্ত্রীকে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই। ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা’র অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে পিগট মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। তবে আমরা চাই দুটি দেশ সরাসরি আলোচনা করুক। পাকিস্তান অবশ্য ভারতের এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে, বরং ভারতকেই আগ্রাসী মনোভাবের জন্য দায়ী করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিগট বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমরা আবারও বলছি, সরাসরি যোগাযোগই আমাদের মূল লক্ষ্য।
সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানে কোনো গোপন পারমাণবিক স্থাপনায় রেডিয়েশন লিক হওয়ার বিষয়ে মার্কিন কোনও দল সেখানে পাঠানো হয়েছে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে পিগট বলেন, এ বিষয়ে বলার মতো কিছু নেই। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মনোভাব ওয়াশিংটনের জন্য হতাশাজনক কিনা- এই প্রশ্নে মুখপাত্র সরাসরি সমালোচনা এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্তুষ্ট। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই এটি বজায় থাকুক এবং আলোচনার পরিবেশ তৈরি হোক। শেষে ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত কিনা, যদি তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে সফলভাবে মধ্যস্থতা করতে পারেন- এমন প্রশ্নের জবাবে পিগট বলেন, প্রেসিডেন্ট শান্তিকামী এবং তিনি চুক্তি পছন্দ করেন। তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন যে, তিনি সংঘাতের সমাধান চান এবং যেখানে সম্ভব সেখানে মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুত।