দেশ বিদেশ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বললেন কর্নেল অলি
স্টাফ রিপোর্টার
১২ মে ২০২৫, সোমবার
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ভবিষ্যতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। অলি আহমদ বলেন, ১০ই মে প্রায় নয় মাস পর, জনতার প্রতিরোধ, তরুণ প্রজন্মের সাহসিকতা ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক শক্তির সম্মিলিত চাপে অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত এসেছে-আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে আমি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই এবং এটিকে ভবিষ্যতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখি। তবে এটাও স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন-এই বিলম্বিত সিদ্ধান্তে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরমভাবে। যারা সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেছে কিংবা প্রভাবিত থেকেছে, তারা ইতিহাস ও জনগণের সামনে দায় এড়াতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট আমি ও আমাদের সংগঠন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রথম জোরালোভাবে দাবি জানিয়েছিলাম-দেশ রক্ষার স্বার্থে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। কারণ এটি ছিল একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা বারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে গুম, খুন, দমন-পীড়নকে সরকারিভাবে অনুমোদন দিয়েছে। কর্নেল অলি বলেন, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে ইসলাম গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যার দীর্ঘ তালিকা, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার, দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন এবং ভারতের স্বার্থরক্ষায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করার মতো অপরাধের দায় এই দলের কাঁধেই বর্তায়। এদের শাসনামলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং নৈতিকতা সর্বোচ্চভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা এবং সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসেও নজিরবিহীন। এই নৃশংসতা ও অবিচারের বিরুদ্ধে আমি, আমাদের সংগঠন এবং দেশের স্বাধীনচেতা মানুষ বারবার উচ্চকণ্ঠে বলেছি-এই দলটিকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া বাংলাদেশ রক্ষা পাবে না।