দেশ বিদেশ
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের রাসেলের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
(২২ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ১০:১০ অপরাহ্ন

বাবা মো. লুৎফর রহমানের নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও তথ্য গোপন করে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মো. শাহরিয়ার রাসেলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আদালতে রিটও করা হয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ২০ এপ্রিল দায়ের করা ওই রিটে বলা হয়েছে- মো. শাহরিয়ার রাসেল, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ২০১৯ সালের ১লা এপ্রিল ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে যোগদান করেন। এর আগে ৩০ জানুয়ারি শাহরিয়ার রাসেল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড হতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লজিক এন্ড পিক্সেল টেকনোলজিস এর জন্য নিজের নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স করান। ট্রেড লাইসেন্সটি ইস্যুর ক্রমিক নম্বর ৪৭৮৫, ব্যবসার ধরন আইটি ব্যবসা। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরিতে যোগদানের সময় তিনি তার নামে ট্রেড লাইসেন্স এবং তার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকার বিষয়টি গোপন করেছেন। ট্রেড লাইসেন্সটি রাসেল বাতিল করেননি এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে তা উল্লেখ করেননি। তিনি চাকরির পাশাপাশি গোপনে তার আইটি ব্যবসা পরিচালনা করে গেছেন যা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (কর্মকর্তা/ কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানমালা ২০২২ এর ৩৮ অনুচ্ছেদের ২(ঙ) ধারার পরিপন্থি। তাই মো. শাহরিয়ার রাসেলের বিরুদ্ধে কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ-উল-ইসলাম।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শাহরিয়ার বলেন, আমি ২০১৭ সালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাই। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মেধা তালিকায় পরীক্ষা দিয়ে প্রথম হয়ে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ পাই। সরকারি চাকরিজীবী হয়ে ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আগে আমার একটি আইটি কোম্পানি ছিল, স্থায়ী অনিয়োগের পর ওই আইটি কোম্পানিটি আমি আর আপডেট করিনি ওইভাবে আছে আপনারা চাইলে যাচাই করতে পারেন।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু দাউদ মিয়া বলেন, ওই বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। এমন অভিযোগ থাকলে আমরা খতিয়ে দেখবো ও যথাযথ ব্যবস্থা নিব।