বাংলারজমিন
ফুলবাড়ীয়া পৌর বিএনপি’র আহ্বায়কের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ নানা অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
১১ মে ২০২৫, রবিবার
ফুলবাড়ীয়া পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক একেএম শমসের আলীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি, দখল, মামলা বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়, দলের নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন শমসের। এসব ঘটনায় একেএম শমসের আলীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়কের কাছে একাধিক অভিযোগ করেছেন। এসব অভিযোগের অনুলিপি দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকে দেয়া হয়েছে। তবে, অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সূত্র জানায়, গত বছরের ১১ই নভেম্বর ফুলবাড়ীয়া পৌর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল ফজল, আহ্বায়ক শাহজাহান শিকদার, মাহবুবুল আলম সেলিম, ওমর ফারুক মাস্টার, মাসুদ আলম খান, আনোয়ার হোসেন আকন্দ রুবেল এবং গত বছরের ১৮ই ডিসেম্বর পৌর বিএনপি’র সদস্য আজহারুল আলম রিপন পৃথক দু’টি অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক একেএম শমসের আলী গত ৫ই আগস্টের পর থেকে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড করে আসছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে গিয়ে দলীয় পদ ব্যবহার করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আতঙ্কিত করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া, বিগত দিনে যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন এবং দল ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, তাদের নিয়ে শমসের বাহিনী গঠন, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ভয় দেখানো, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান থানা ভাঙচুর মামলার আসামি শরাফ উদ্দিনকে মামলার ভয় দেখিয়ে তার বাসা ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে ব্যবহার করা, জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি করে থানায় এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন। বিএনপি নেতার এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৪ঠা আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে হামলা করে। ওই হামলায় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। ওই মামলার আসামি আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে জেলা মটর মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে তার মালিকানাধীন আলম এশিয়া গাড়িগুলো দ্রুত চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেবেন বলে একটি গাড়ি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। কুশমাইল গ্রামের কৃষক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমাদের সাফ কাওলা ক্রয়কৃত সম্পত্তি জমা খারিজ করা। হঠাৎ জমিতে সীমানার খুঁটি বসিয়ে শমসের নেতা বলে এই জমিতে আপনারা কেউ আসবেন না। তিনি বলেন, দখল ছেড়ে দিয়ে বুঝিয়ে দেবো তবে দিতে হবে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জানতে পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক একেএম শমসের আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। যারা অভিযোগ দিয়েছিল, পরে তারাই আমার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিল যে আমার বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তবে, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।