অনলাইন
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলা রোধে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ ঘন্টা আগে) ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:৫৮ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষিত পানিসহ অন্যান্য বর্জ্য যাতে ফেলতে না পারে এবং দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- এ মর্মে রুল দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন এবং দূষণ করার কারণে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
শীতলক্ষ্যা দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত পরিবেশ ও মানবাধিকারবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর পক্ষে ৩ জন আইনজীবী গত ২৪শে এপ্রিল এ রিট আবেদনটি করেন। এতে শীতলক্ষ্যা দূষণ বন্ধ ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার আরজি জানানো হয়।
এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদের (রিট মামলার বিবাদী) নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মেও রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বিআইডব্লিউটিএ’কে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করতে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ যেন শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের দূষিত পানি ও অনান্য বর্জ্য নদীতে ফেলতে না পারে তার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আদালতে ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি কী পরিমাণ দূষিত হয়েছে তা অর্থে পরিমাপ করে কী ক্ষতি হয়েছে তা আগামী ৩ মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।