দেশ বিদেশ
আওয়ামী লীগের বিচার ও মৌলিক সংস্কারে একমত এনসিপি-গণসংহতি আন্দোলন
স্টাফ রিপোর্টার
১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবারআওয়ামী লীগের বিচার ও মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণসংহতি আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে এটি ছিল প্রথম বৈঠক গণসংহতি আন্দোলনের। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি’র অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী ও অনিক রায়, যুগ্ম সদস্য সচিব ফরিদুল হক ও মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান। অন্যদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন- দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি ও মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, ইমরাদ জুলকারনাইন ও তরিকুল সুজন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জন দাস।
বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে সাংবিধানিক পদে নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ, নারী আসন ও স্থানীয় সরকার প্রসঙ্গ, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, ক্ষমতার ভারসাম্য, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, এসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ন্যূনতম একটা ঐকমত্যে আসতে আমরা আলোচনা চালাবো। একইসঙ্গে রাজপথেও আমাদের যার যার জায়গা থেকে সংগ্রাম চলবে। নতুন একটা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হবে, বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক যাত্রায় হাঁটবে। এটা শহীদদের স্বপ্ন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা। সংস্কারের জন্য যে জন-আকাঙ্ক্ষা তা দেশে ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে এবং সত্যিকার অর্থে জনগণের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত হবে। সেই জায়গাটা রাষ্ট্র কাঠামোগতভাবে কীভাবে তৈরি করা যাবে, সে বিষয়ে আমরা জোর দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে সাকি আরও বলেন, আমরা মনে করি, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়টাকে আমরা বিচারের আওতায় আনাটাকে দেখতে চাই। আমরা চাই, সংস্কারে একটা ন্যূূনতম ঐকমত্য দ্রুত তৈরি হোক।
এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি যে বিচার, মৌলিক সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছে, তার অনেকগুলো এজেন্ডার সঙ্গেই গণসংহতি আন্দোলন একমত, কিছু জায়গায় দ্বিমতও রয়েছে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এবং নির্বাচনের আগে সংস্কার কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।