ঢাকা, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সঙ্গে বৈঠকে আলী রীয়াজ

আমরা সকলে মিলে একটা জাতীয় সনদপত্র তৈরি করতে চাই

স্টাফ রিপোর্টার

(৮ ঘন্টা আগে) ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:১২ অপরাহ্ন

mzamin

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা একটা জাতীয় সনদপত্র তৈরি করতে চাই, সকলেই মিলে চাই। এটা কেবল ঐকমত্য কমিশনের আকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়, এটি কেবল সরকারের বিষয় নয়।’

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সঙ্গে এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আজকে আমরা যে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রশ্নে সকলে মিলে, সকলে একত্রে বসে কথা বলতে পারছি। পথ খুঁজবার চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হয়েছে কমপক্ষে ১৪ শ’ মানুষের রক্তপাত ও প্রাণনাশের মধ্য দিয়ে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। কিছু বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।’

পাঠকের মতামত

দ্বৈত নাগরীকত্ব বাতিল করুন।

মিলন আজাদ
২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৪ অপরাহ্ন

আমার মতে, কয়েকটি সংস্কার জরুরি। গত ১৬ বছরের শাসনামলে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, জনগণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় না। যদি ক্ষমতাসীন দলের বাইরে থেকে কেউ মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তাকে অকার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয় এবং বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, আমরা দেখেছি, যারা শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন, তারা বেতন না পেয়ে রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ জমিয়ে রাখেন। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। বিচারকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, অনৈতিকভাবে নিজেদের পক্ষে রায় লিখিয়ে নেওয়া হতো। এই পরিস্থিতি এড়াতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিরোধী দল, স্বতন্ত্র দল বা তৃতীয় দলের হাতে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে নির্বাহী ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হ্রাস করতে হবে, যাতে সরকার পরিচালনায় ভারসাম্য ও জনগণের ইচ্ছার যথাযথ প্রতিফলন ঘটে। এক —সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন। দুই — বিরোধী দল থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। তিন -অর্থমন্ত্রীর পদ, আইনমন্ত্রীর পদ বিরোধী দল, তৃতীয় দল অথবা কোনো স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হবে। প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো — রাষ্ট্রের সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিকের মধ্যে ন্যায়, সমতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা। এই সংস্কার কোনো দলের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য নয়, আবার কোনো দলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যও নয়। শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। এটি জাতির সার্বিক উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক ধারার বিকাশ এবং সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য। হে আল্লাহ, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে তুমি দীর্ঘজীবী করো। আমিন।

Hasan Morshed
২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:১১ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status