অনলাইন
মানবিক করিডর নিয়ে সরকার কারো সঙ্গে আলোচনা করেনি: প্রেস সচিব
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে সরকার তথাকথিত ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।
তিনি বলেন, সরকার মনে করে, যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে বরাবরই উদাহরণযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমাদের সহায়তা।
প্রেস সচিব জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সাহায্য পাঠানোর একমাত্র কার্যকর পথ হলো বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে। এই পথ ব্যবহার করে সাহায্য পরিবহনে লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত। তিনি বলেন, রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। যথাসময়ে বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করব।
একটি বড় শক্তির সম্পৃক্ততার বিষয়ে যে খবর ছড়িয়েছে, তার প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, এটি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ প্রোপাগান্ডা।
তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যা ও অপপ্রচার দেখে আসছি, এটি এখনো চলছে।
পাঠকের মতামত
দেশের জন্যে এক অশিনি সংকেত!!!
মানবিক করিডোর নয়। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নাগরিক মর্যাদাসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রসহ রাখাইনে পাঠানো হোক
বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। ভেবে চিন্তে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচিত সরকার নয়।
বাংলাদেশে অবস্হানরত রহিঙ্গাদের মানবিক করিডর দিয়ে আরাকানে পাঠিয়ে, অতপর সেখানে খাদ্য সহায়তা দেয়ার ব্যবস্হা করা গেলে উভয় দেশের জন্য ভাল হতো।
বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সাহায্য প্রেরনের করিডোর হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। এই করিডোর সাহায্য প্রেরণের সাথে সাথে অস্ত্র-গোলাবারুদ প্রেরনের ঝুঁকি থাকবে। ফলে বৃহৎ শক্তির টার্গেটে পরিনত হবে বাংলাদেশ। এমনিতে বর্তমানে আমরা নানা সমস্যা বিশেষ করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে একটা সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এই অবস্থায় আমাদের একটা ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে পড়া সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত হবে।