অর্থ-বাণিজ্য
সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বাড়লো দেশের রিজার্ভ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২১ ঘন্টা আগে) ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৯:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১২ অপরাহ্ন

রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬.৭৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১.৪২ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে মূল অবদান রাখছে প্রবাসী আয়। চলতি এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। শুধু গত মার্চ মাসেই রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ— এ মাসজুড়ে এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে। জুলাইয়ে এসেছে ১.৯১ বিলিয়ন, আগস্টে ২.২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২.৪০ বিলিয়ন, অক্টোবরে ২.৩৯ বিলিয়ন, নভেম্বরে ২.২০ বিলিয়ন, ডিসেম্বরে ২.৬৪ বিলিয়ন, জানুয়ারিতে ২.১৯ বিলিয়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত থাকার ফলেই রিজার্ভে এসেছে গতি।
সাধারণত একটি দেশের রিজার্ভ অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।
অর্থনীতিবিদদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক ও প্রবাসী প্রণোদনার কার্যকর উদ্যোগ রিজার্ভে এই গতি ফেরাতে সহায়ক হয়েছে।
পাঠকের মতামত
আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন কারণ নেই। সরকারি কর্মকর্তা দের দূর্ণীতি থেমে নেই, লুটপাট এখনো চলছে। হুন্ডিচক্রের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালাতে হবে। তাহলেই রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকবে।
দেশের Foreign currency reserve বাড়ছে। তা হলে এত লোডশেডিং কেন? পর্যাপ্ত পরিমান তেল, দিজেল আমদানি ও সরবরাহ ঠিক থাকলে বিদ্যুৎ উদপাদন স্বাভাবিক থাকার কথা। লোডশেডিং এর জন্য কোটি কোটি লোক কষ্ট পাচ্ছে, শিল্প কারখায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই Foreign currency reserve না বারিয়ে ঐ Foreign currency দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান তেল, দিজেল আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানো দরকার, অতীব প্রয়জন। সরকারি উপদেষ্টারা বিষয়টি অনুধাবন করুন।