অর্থ-বাণিজ্য
দুদকের এক পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযোগ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৮:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের দেয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেয়া হয়।
এদিকে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি দুদক। অভিযান শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।’ তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি চালাতে আসে। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই তল্লাশি চালানো হয়। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। সেগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রয়েছে।
দুদকের তল্লাশির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুদকের দলটি একটি তালিকা নিয়ে এসেছিল। তারা লকারের তালিকার সঙ্গে সেসব নাম মিলিয়ে দেখে। কিন্তু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি। আমরা চাই, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ দুর্নীতি করে থাকলে তার যথাযথ বিচার হোক। তবে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন।’
পাঠকের মতামত
শুধু মামলা করে মানুষকে হয়রানী কেন? বিচার তো হয় না। বিচার করা হয় না।