শরীর ও মন
পাকস্থলীর ক্যান্সার
ডা. এম এ বি সিদ্দিক
৬ মে ২০২২, শুক্রবার
সারা বিশ্বেই ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ পাকস্থলী বা স্টমাক ক্যান্সার। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। যদিও বয়স্কদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। তবে আমাদের দেশে অল্প বয়সে অনেক পাকস্থলীর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী পেয়ে থাকি। পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণসমূহ পারিবারিকভাবে হতে পারে। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক ও হ্যালিকোব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া যারা সল্টেড ফুড, যারা সামুদ্রিক মাছ ও শুঁটকি বেশি খান, প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খান, ফ্রেস ফলমূল কম খান, স্থ্থূলতা বেশি, কায়িক পরিশ্রম কম করেন, রাবার ও কয়লা ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন তাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
লক্ষণসমূহ: প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন নাও থাকতে পারে এবং সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সঙ্গে লক্ষণ পার্থক্য করা যায় না। হঠাৎ করে উপরের পেটে ব্যথা, জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, ক্ষুধা-মন্দা, বমিভাব বা বমি হওয়া, খাবার উপরে উঠে আসা, মুখে লালা জমা- এসব এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। এ ছাড়া পেটে চাকা, পানি আসা, পেট ফুলে যাওয়া, রক্ত বমি এ রোগের লক্ষণ। একমাত্র এন্ডোসকপি পরীক্ষার মাধ্যমেই এ রোগ নির্ণয় করা যায়। এ ছাড়া এর স্টেজ নির্ণয়ের জন্য সিটি স্ক্রান ও অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সার্জারি এই রোগের প্রধান ও প্রাইমারি চিকিৎসা। এ ছাড়া এই ক্যান্সারের সহযোগী চিকিৎসা কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি স্টেজ অনুযায়ী অপারেশনের পূর্বে ও পরে দেয়া হয়। প্রতিরোধ খাদ্যাভ্যাস এর পরিবর্তন যেমন ফ্রেস ফলমূল, প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া। ওজন কমানো, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার, এন্ডোসকপিক স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লেখক: কোলোরেক্টাল, ব্রেস্ট, এন্ডোল্যাপারোস্কপিক ও ক্যান্সার সার্জন। সহকারী অধ্যাপক সার্জারি বিভাগ, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ। চেম্বার: ল্য্যাবএইড, উত্তরা সেক্টর ৬, শাখা- (১),
মোবাইল: ০১৭১২-৮৯২৫৪১