প্রথম পাতা
বনানীতে অটো চালকদের তাণ্ডব
স্টাফ রিপোর্টার
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
গুলশান-বনানী এলাকায় চলাচল বন্ধ করে দেয়ার কারণে সড়ক বন্ধ করে তাণ্ডব চালিয়েছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। গতকাল দুপুরে চালকরা সড়ক অবরোধ করলে তাদের ছবি বা ভিডিও তুলতে যাওয়ায় পথচারী, মোটরসাইকেলচালক ও সাধারণ মানুষদেরকে ধাওয়া দিয়ে মারধর ও লাঠিপেটা করছেন অটোরিকশাচালকরা। এমনকি দু’টি প্যাডেলচালিত রিকশাসহ চালকদের মারধর করে ব্রিজের ওপর থেকে লেকের পানিতে ফেলে দেন তারা। ওই রাস্তা দিয়ে কাল দিনভর কাউকেই প্রবেশ করতে দেননি তারা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর আগে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রঙের ও নিবন্ধিত প্যাডেলচালিত রিকশা চলতে পারতো গুলশান-বনানী এলাকায়। তবে গত কয়েক মাস ধরে বাইরের ব্যাটারিচালিত রিকশা ওই এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করলে যানজট ও বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৯শে এপ্রিল থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), গুলশান সোসাইটি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর পক্ষ থেকে যৌথভাবে গুলশান সোসাইটিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি অটোরিকশাচালকরা। তারা গত ক’দিন ধরে গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। কিন্তু গতকাল সকালে সোসাইটির বাসিন্দারা গুলশানের শেষ মাথায় এবং বনানী এলাকার শুরুর রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। তাদের রিকশা আটক করায় তারা বনানী ১১ নম্বর এলাকায় আন্দোলন শুরু করেন।
সরজমিন দেখা যায়, আন্দোলনের নামে তারা প্রথমেই গুলশান-বনানী এলাকায় প্যাডেলের রিকশাচালকদেরকে টার্গেট করেন। প্যাডেলের রিকশাচালকদেরকে সামনে পেলেই যাত্রীসহ মারধর শুরু করেন তারা। পাঠাও চালকদেরকেও ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করতে থাকেন। আর এইসব কাণ্ডের ছবি বা ভিডিও যারাই তুলতে যান তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করছেন অটোরিকশাচালকরা। ছবি-ভিডিও করার সময় বনানী-১১ নম্বর রোডের মাথায় বেশক’জন পথচারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তারা। বনানী-১১ নম্বর রোড দিয়ে ঢুকতে গিয়ে গতকাল দুপুরে মোটরসাইকেলচালকসহ পথাচারীদেরকে লাঠিপেটাও করেছেন রিকশাচালকরা। কেউ তাদের প্রতিবাদ করতে পারেনি। প্রতিবাদ করতে গেলেই তেড়ে যান সকল অটোচালকেরা। আন্দোলনরত রিকশাচালকেরা বলেন, গুলশান-বনানীতে প্যাডেলের রিকশা চলতে পারলে আমাদের ব্যাটারিচালিত রিকশাও চলতে দিতে হবে। আর তা না হলে কেউই রিকশা চালাতে পারবে না।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা বর্তমানে বনানী-১১ নম্বর রোডে আন্দোলন করছিল। পরিস্থিতি আমাদের হাতের বাইরে ছিল। তারা যা খুশি তাই করছিল। যারাই তাদের আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও নেয়ার চেষ্টা করছে তাদের ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করছিল অটোচালকরা। পরে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পাঠকের মতামত
এই ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা গুলো পুরো দেশে মরণফাদ। একটা গাড়ী যার কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই, চালকের কোন লাইসেন্স বা প্রশিক্ষন নেই... এমন গাড়ী কিভাবে ৮ জন যাত্রী ন্নিয়ে হাইওয়ে সহ সকল রাস্তায় চলাচল করে? এদেরকে রাস্তায় চলতে দেয়া মানে... সাধারন যাত্রীদের কে মারার লাইসেন্স দিয়ে দেয়া। এদেরকে অবশ্যই মূল সড়ক এ নিষিদ্ধ করতে হবে বা নীতিমালা প্রনয়ন করে গাড়ির মান বাড়ানো ও ড্রাইভার প্রশিক্ষন দিয়ে, লাইসেন্স এর আওতায় আনতে হবে
পুলিশের কাজ কি??? পাছায় বেত মারা হলো না কেন?? সব জায়গায় কি পুলিশ নিস্ক্রিয় ভুমিকায় থাকবে??
এখনই এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমস্যার অন্ত থাকবে না ঢাকা বাসীর। এরা বেপরোয়া। এরা অরাজকতা করতেই ঢাকায় অবস্থান করছে।
ঢাকা শহরে এরা বিশৃংখলা, অরাজকতা ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকারের নমনিয়তার সুযোগ নিয়ে এরা যা ইচ্ছা তাই করে বেরাচ্ছে। মনে হয় এরা সকল আইনের উর্ধে। ঢাকা শহরের সড়কের নিরাপত্তা ও শৃংখলা ফেরাতে মুল সড়কে অবিলম্বে এদের নিষিদ্ধ করতে হবে। আইন ভঙ্গকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা সরকারের অধীনে কোনো ক্যাটাগরিতে পড়ে না। তারা সরকারকে কোনো ট্যাক্স প্রদান করে না। আমার ব্যক্তিগত মত হলো যদি একান্তই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করা না যায় তাহলে সিটি কর্পোরেশন নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স আরোপ করে ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে আইনুযায়ী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
রামরাজত্ব কায়েম করেছে এরা।
Why can't we stop them.
পুলিশ, প্রশাসন বাল ছিড়তে চাকরী করতেছো। এসব থার্ডক্লাসগুলো ইচ্ছামত যা খুশি করতেছে আর তোমরা ছিড়তেছো। দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে এদেরকে দেশের রাজা বানিয়ে দাও তাহলে।
বাংলাদেশে আর একটি বিপ্লব হবে. সকল অন্যায় বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে. শুধু সময়ের অপেক্ষায়.
বনানীতে অটো চালকদের তাণ্ডব : অটো বন্ধ করার দরকার,আমদানি বন্ধ করা কঠিন,যদি আমদানি বন্ধ করেন অন্য নামে আমদানি হবে,অসততার খনি বাংলাদেশে!অটোরিকশা যেখানে বেচাকেনা হয় সেগুলি ধ্বংস করা ছাড়া কোনভাবে বন্ধ করা সম্ভব না।কৃষি যন্ত্রাংশ আমদানি ঘোষণা দিয়ে আমদানি হয় এগুলি।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। এদের অধিকাংশই সন্ত্রাসী। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে পতিত স্বৈরাচারের পৃষ্ঠপোষকরা এদের ব্যবহার করছে কিনা, সতর্ক থাকে হবে।