শেষের পাতা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় ধরনের সমস্যার জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদের এড়িয়ে যেতে। গতকাল ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় শুল্কের প্রসঙ্গ এসেছে এবং বলেছি, আমরা চেষ্টা করছি বাণিজ্য বাধা কমিয়ে আনতে। তিনি বলেন, আমি আরেকটি পয়েন্ট বলেছি যে, দু’পক্ষের মধ্যে যতটা তফাৎ বলা হয়, সেটি ততটা নয়। কারণ সেবা খাতে আমরা প্রচুর আমদানি করি। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তভাবে জানানো হয়েছে যে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি ফেরত আসবে না। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাওয়া যাচ্ছে না। আবার তাদের এড়িয়েও এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়। মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও শান্তি আসবে না। এটি আমি শক্তভাবে বলেছি। আমি এটাও বলেছি যে, আমরা এখন একটি নতুন বাস্তবতায় আছি। সত্যিকার অর্থে আমরা এখন নতুন প্রতিবেশীর মুখোমুখি; যারা আবার নন-স্টেট অ্যাক্টর। কাজেই তাদের সঙ্গে আমরা না পারছি সরাসরি আচরণ করতে, না পারছি উপেক্ষা করতে। এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সবার আগে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে। কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের দেশ থেকেই ৮০ ভাগ সমস্যা তৈরি হয়। এই সমস্যাগুলো পরবর্তীতে দূতাবাসকে সামলাতে হয়।
সুতরাং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। পাশাপাশি মিশনগুলোর ওপরও চাপ কমবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক ও পূর্ব এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পাঠকের মতামত
আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগীরক আমি নিশ্চিত এই ১২/১৪ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কেয়ামত পর্যন্ত ফিরে যাবেনা, দিনের শেষে এদের নাগরীকত্ব দিয়ে এদেশে রেখে দিতে হবে এটাই বাস্তবতা।
সহজ সমাধান বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে ১০ হাজার যুবককে প্রস্তুত করলে আরকান আর্মির বাপেও রোহিঙ্গাদের অধিকার ঠেকাতে পারবে না।