বিশ্বজমিন
নিউইয়র্ক তদন্তে প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ১১ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৫৯ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে নিউইয়র্কে তদন্ত চলছে। তবে এ নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাকে যে প্রশ্ন করেছিলেন তার জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঋণ এবং কর সুবিধা পাবার জন্য তিনি তার সম্পদের সঠিক মূল্য না দিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের দাবি, তিনি কোন অন্যায় করেননি এবং তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হচ্ছে, সেটি তাকে হেয় করার একটি প্রচেষ্টা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, কয়েকদিন আগেই ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই অন্য আরেকটি অভিযোগে তল্লাশি চালিয়েছিল। এরপর এক লিখিত বিবৃতিতে ট্রাম্প নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এই তদন্তের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রতিটি নাগরিকের যে অধিকার দেয়া আছে, সেটির আওতায় আমি প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকেও এই জেরার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাম্পের অপরাধের যেসব প্রমাণ দেয়া হয়, সেগুলোর বিপরীতে তিনি পঞ্চম সংশোধনীতে থাকা অধিকার তুলে ধরেছেন।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস জানিয়েছে, তাদের তদন্ত চলবে এবং আইন ও তথ্য প্রমাণ যেদিকে নিয়ে যায় তারা সেদিকে যাবেন। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প হয়তো প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কারণ তদন্তের সময় উত্তরগুলো তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হতে পারে। প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনেছিলেন। এর ফলে কোন মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য বাধ্য করা যাবে না। ট্রাম্পের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই জেরা চার ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছে এবং মাঝে-মাঝে দীর্ঘ বিরতি ছিল।
শুরুতেই ট্রাম্প একটি লিখিত বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এই তদন্তের নিন্দা জানান। একই সাথে তিনি পঞ্চম সংশোধনীতে থাকা অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করেন। ট্রাম্পকে যতগুলো প্রশ্ন করা হয়েছে তার প্রতিটির উত্তরে তিনি বলেছেন ‘একই উত্তর’। এই তদন্ত শেষ হবার পর অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্প এবং তার কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানার জন্য মামলা করতে পারেন। ট্রাম্প এবং তার সন্তানদের যাতে কোন জেরার মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলেন তার আইনজীবী। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক রায় দেন যে ডনাল্ড ট্রাম্প এবং তার আরো দুই সন্তানকে অবশ্যই জেরার জন্য হাজির হতে হবে।