শেষের পাতা
ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার
৯ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবারঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদ ও এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি নজরে আনেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি দুদকের প্রতি পদক্ষেপ ও তদন্তের নির্দেশনা চান। এরপর আদালত ব্যারিস্টার সুমনকে একটি আবেদন দাখিল করতে বলেন। আগামী বুধবার (১০ই আগস্ট) এ বিষয়ে পিটিশন দায়ের করবেন বলে জানান তিনি।
পরে ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে অসংখ্য সৎ পুলিশ অফিসার রয়েছে, কিন্তু এই ওসির মতো কেউ যদি এতো সম্পদ বানান, তাহলে সৎ অফিসার যারা, তারা মনে অনেক বেশি কষ্ট পাবেন।
এর ফলে দেশে আর সৎ অফিসার নাও হতে পারে। তিনি বলেন, এভাবে অসৎ অফিসাররা যদি ট্রেন্ড তৈরি করেন, তাহলে সৎ অফিসার খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এজন্য বিষয়টি আদালতের নজরে নিয়ে এসেছি। আদালত শুনেছেন। শুনে আদালত বলেছেন, এটা তো ঠিক না। আদালত দুদকের আইনজীবীকে ডেকেছেন।
আদালতের নজরে আনা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় ৮তলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে তার রয়েছে ৪টি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এতো সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকুল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।