রাজনীতি
নানা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে: টুকু
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৩৯ অপরাহ্ন

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার বহু শিকারি বেরিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন হবে।’ আমিও বলছি, সবচেয়ে কঠিন হবে। আমাদের নানান শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কেউ ধর্মের ট্যাবলেট বেঁচছে, কেউ খেলাফতের ট্যাবলেট বেচঁছে, নানান ট্যাবলেট দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনকে নেয়ার চেষ্টা করছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আতঙ্কিত হন জানিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আজকে আমি খুব আতঙ্কিত হই। যে এদেশে মানুষ আমরা, আমাদের যে মাটি সংস্কৃতি আছে, সেটার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে আমরা। আমাদের দেশে যেমন রীতি আছে সেসব পালন করা তার সঙ্গে ধর্মের কোন দ্বন্দ্ব নেই। প্রত্যেকটি দেশের নাগরিক তাদের নৃতাত্ত্বিক সাংস্কৃতি আছে পালন করে। সুতরাং এ জিনিসগুলোকে বন্ধ করার যে অপচেষ্টা চলছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা, ঘোলা পানি তৈরি করা যাতে আবার পতিত সরকার ঘোলা পানিতে প্রবেশ করতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দল করে যদি হুমকি দাও, যে এটা না হলে ওটা হবে না, ওটা না হলে এটা হবে না। তাহলে আমরা যে এতদিন দল করে এতবড় একটা দল তৈরী করছি তাহলে কি আমরা চুপ করে বসে থাকব?
ভারতের আসামে ছাত্রদের দ্বারা গঠিত সরকার বেশিদিন টিকতে পারেনি জানিয়েছে তিনি বলেন, ভারতের আসামে একবার কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তখন আসামের ছাত্ররা আন্দোলন করে সেখানকার সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। পরে অসম অধিকার পরিষদ নামে একটি ছাত্র পরিষদ করেছিল। তারা নির্বাচন করে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা সরকার বেশিদিন চালাতে পারেনি। ৯ মাস কি এক বছর হয়েছিল সেই সরকারের বয়স। পরে পতন হয়েছিল। সুতরাং এটা নয় যে পৃথিবীর ইতিহাসে ছাত্ররা সরকার গঠন করেননি। কিন্তু ছাত্ররা চালাতে পারে নাই।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, ‘আমারা বিএনপি পরিবার’- এর উপদেষ্টা মো. আবুল কাশেম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
১৬ বছরের পরীক্ষায় অটোপাশ করলে এই পরীক্ষা তো কঠিন মনে হবেই।
এই নাহিদ, আসিফরা সেদিন হাসিনার সাথে আপোষ করে আন্দোলন বন্ধ করে দিলে ফখরুল সাহেবরা কেয়ামত পর্যন্ত নির্বাচনের মুখ দেখতো না । তাদের নেত্রী ও নেতাকর্মীদের জেলের ভেতরেই পঁচে মরতে হতো। নাহিদ, আসিফরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে কোনো আপোষ করেনি বলেই বাংলার মানুষ এক ভয়ংকর জালিমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে ।আর ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাহেবরা নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে । নাহিদ, আসিফরা জীবন মরণের একদম কাছাকাছি ছিল।সুতরাং তাদের কথা বলার অধিকার আছে। সত্য কথা শুনতে তিতা হলেও সত্য।
Sir. Where have you been 5th August 2024.
জনাব ইকবাল হাসান টুকু হল শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের বেয়াই। যে লোক আওয়ামী পরিবারের আত্মার আত্মীয় শেখ পরিবারের আত্মীয় তার মূখ থেকে আওয়ামী পেশিষ্টদের মতই কথা বের হবে, এর চেয়ে ভালো কোনো কথা তাদের থেকে আশা করা যায় না। গত ১৫/১৬ বছর সে শেখ সেলিমের আশ্রয় চিল, এখন ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে,সে কচ্ছপের মত মূখ বের সবাইকে হুমকি দিচ্ছে।